Athletics Championship: জাতীয় আন্তঃরাজ্য সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয় পারুলের
National Inter-state Senior Athletics Championship: চলতি বছরের শেষে এশিয়ান গেমসের আসর বসবে। সেখানেও যোগ্যতা অর্জন করে নিলেন মীরাটের ২৮ বছরের এই অ্যাথলিট।
ভুবনেশ্বর: আন্তর্জাতিক আন্তঃরাজ্য সিনিয়র অ্যাথলেটিক্স চ্য়াম্পিয়নশিপে সোনাজয় পারুল চৌধুরীর। স্টিপেলচেজে ৩০০০ মিটার ইভেন্টে সোনা জিতলেই এই ভারতীয় অ্যাথলিট। ২০১৮ সালে গুয়াহাটিতে সুধা সিংহ ৯:৩৯:৫৯ সময়ে দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন। এদিন সুধার রেকর্ড টপকে শীর্ষে চলে গেলেন পারুল। তিনি নিজে সময় নিলেন ৯:৩৪:২৩। চলতি বছরের শেষে এশিয়ান গেমসের আসর বসবে। সেখানেও যোগ্যতা অর্জন করে নিলেন মীরাটের ২৮ বছরের এই অ্যাথলিট। পারুল বলছেন, ''এটা অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা। এশিয়ান গেমসে যোগ্যতা অর্জন করা দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি প্রচুর অনুশীলন করেছিলাম সাফল্যের জন্য। গত মাসে লস এঞ্জেলসে যে মিট হয়েছিল, তা আমাকে অনেকাংশে সাহায্য করেছে।''
লস এঞ্জেলসে গ্রান্ড পিক্সে অংশ নিয়ে স্টিপেলচেজে ৩০০০ মিটার ইভেন্টে নিজের সেরা পারফর্ম করেছিলেন পারুল। যা এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা। সেখানে তিনি এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নিয়েছিলেন ৯:২৯:৫১। পারুল বলেন, ''আমি আশা করেছিলাম যে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পাব। কিন্তু প্রবল গরমে আমি আমার লক্ষ্যপূরণ করতে পারিনি ঠিকভাবে। শুরুটা আমি ২ কিলোমিটার ভাল গতিতে এগােচ্ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে গরমের জন্য ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। স্পিডও কমে আসে। তবে এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাওয়াটাও বড় ব্যাপার। এবার আমি আমার আগামী মিটে আরও ভাল পারফর্ম করার লক্ষ্যে রয়েছি।''
রবিবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনাল
দশদিনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের মাহেন্দ্রক্ষণ রবিবার। যখন ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ট্রফির যুদ্ধে নামবে দুই দল - ভারত ও লেবানন। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্য়াচে এই দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে প্রায় একে অপরের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দুই দেশ। ভারতের ফিফা ব়্যাঙ্কিং ১০১। লেবানন ৯৯। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গোলশূন্যভাবে ড্র হয়েছিল। রবিবার ফাইনালে কী হবে?
ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ (Igor Stimac) বলছেন, “আমাদের দলে অনেক কিছুই যে বদলাতে হবে, তা নয়। গোল করা নিয়ে সমস্যা ছাড়া বাকি সব ঠিকই আছে। খেলায় গতি, আগ্রাসন আরও বাড়াতে হবে। লেবানন যে শারীরীক ফুটবল খেলে, তা সামলাতে হবে। আমরা গর্বিত যে আমরা আরও একটি ফাইনালে (ত্রিদেশীয় সিরিজের পর) উঠেছি। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।”
কিন্তু খেলোয়াড়রা গোলের সামনে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেললে যে তা সম্ভব নয়, তা খুব ভাল করেই জানেন অভিজ্ঞ কোচ। সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “গোলের সামনে মাথা ঠান্ডা রেখে বলের ওপর চোখ রেখে গোল করার পরামর্শ ছেলেদের সব সময়ই দিই। কিন্তু ছেলেরা তা পারছে না।" এই সময়ে ঈশান পন্ডিতাকে পেলে যে ভাল হত, তা স্বীকার করে নেন স্তিমাচ। স্কোরার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষ। কিন্তু অনুশীলনে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে যাওয়ায় দলের বাইরে ঈশান।