Pak vs Ban: ইডেনে ওয়াসিমদের রিভার্স স্যুইংয়ের বিষে ঘায়েল বাংলাদেশ, দেখে মুগ্ধ ওয়াকারও
Eden Gardens: রিভার্স স্যুইংয়ের প্রাথমিক শর্তই হল বল পুরনো হতে হবে। অথচ ওয়ান ডে ক্রিকেটে এখন দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহৃত হয়। রিভার্সেও সুযোগ কোথায়!
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সরফরাজ় নওয়াজ় এখন পেনশনভোগী। পাকিস্তান (Pakistan) ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে মাসিক ভাতা দেয়। মঙ্গলবার কি পাকিস্তানের কিংবদন্তিকে সবচেয়ে বড় গুরুদক্ষিণা দিলেন মহম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রউফরা?
নওয়াজ়কে রিভার্স স্যুইংয়ের জনক বলা হয়। যে স্যুইং বিশ্বের তাবড় ব্যাটারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রথামাফিক স্যুইংয়ের বাইরে গিয়ে বিরল যে পেস বোলিং শিল্পের সঙ্গে বিশ্বকে পরিচিত করে তুলেছিলেন নওয়াজ়। পরে তাঁর থেকেই যে শিল্পের পাঠ নিয়েছিলেন ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসের মতো কিংবদন্তিরা। পুরনো বলে যে অস্ত্রে বিশ্বের নামী ব্যাটারদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত করে রাখতেন পাক পেসাররা।
যদিও ইদানিং ওয়ান ডে ক্রিকেটে রিভার্স স্যুইং দেখা আর সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল বাঘের সাক্ষাৎ পাওয়া কার্যত এক হয়ে গিয়েছে। রিভার্স স্যুইংয়ের প্রাথমিক শর্তই হল বল পুরনো হতে হবে। অথচ ওয়ান ডে ক্রিকেটে এখন দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহৃত হয়। রিভার্সেও সুযোগ কোথায়!
তবু মঙ্গলবার ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাক পেসারদের (Pak vs Ban) বোলিং দেখলে উচ্ছ্বসিত হতেন সরফরাজ়। কারণ, বিরল রিভার্স স্যুইং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন শাহিন, ওয়াসিম, হ্যারিসরা।
বিশেষ করে ওয়াসিম। নাসিম শাহ চোট পেয়ে ছিটকে না গেলে ডানহাতি পেসার ওয়াসিমের প্রথম একাদশে খেলারই কথা নয়। এমনকী, টুর্নামেন্টের প্রথমার্ধে তাঁকে বসিয়ে রেখে হাসান আলিকে খেলাচ্ছিল পাকিস্তান। ওয়াসিম যখন দলে সুযোগ পেয়েছেন, সেমিফাইনালের দৌড় থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান। আর সেই ক্ষত ভুলিয়ে একের পর এক বিধ্বংসী স্পেল করে চলেছেন ডানহাতি পেসার। নিয়মিতভাবে ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেন। বল দুদিকে স্যুইং করান। আর মঙ্গলবার তার সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন রিভার্স স্যুইংয়ের বিষ। যা দেখে মুগ্ধ রিভার্স স্যুইংয়ের অন্যতম ধারক ও বাহক, কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসও।
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বলা হয় পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের পেস বোলিংয়ের সেরা মুখ। কেন, তা এদিন বোঝালেন বাঁহাতি পেসার। নিজের প্রথম স্পেলে প্রথম ২ ওভারে পরপর জোড়া উইকেট। বাংলাদেশ ইনিংসকে শয্য়াশায়ী করে দেওয়ার সেই শুরু। তারপর সেই শয্যাকেই শরশয্য়া বানিয়ে তুললেন মহম্মদ ওয়াসিম, হ্যারিস রউফরা।
পাক পেস বোলিংয়ের গোলাগুলির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশ ব্যাটিং। ২৯ বল বাকি থাকতে, ৪৫.১ ওভারে, মাত্র ২০৪ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ।
আর পাকিস্তানে বসে কি মুচকি হাসলেন সরফরাজ়?
আরও পড়ুন: ODI World Cup Exclusive: জন্মদিনে ইডেনে নিজের ছবি দেওয়া কেক কাটবেন কোহলি, স্মারক-আতসবাজিতে নায়ক বরণ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন