Sakibul Gani Record: অভিষেকেই ট্রিপল সেঞ্চুরি! কলকাতার বুকে বিশ্বরেকর্ড বিহারের তরুণের
Ranji Trophy: কলকাতার বুকে ইতিহাস তৈরি করলেন বিহারের তরুণ সাকিবুল গনি। রঞ্জি ট্রফির অভিষেকে করলেন ৪০৫ বলে ৩৪১ রান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে তো বটেই, গোটা বিশ্বে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে নজির কারও নেই।
কলকাতা: ইডেনে (Eden Gardens) ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ (Ind vs WI) টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলছে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হলেও, রোহিত শর্মা-কায়রন পোলার্ডদের দ্বৈরথ ঘিরে শহরে ক্রিকেট জ্বর।
কিন্তু তারই ফাঁকে কলকাতার বুকে ইতিহাস তৈরি করে ফেললেন বিহারের তরুণ সাকিবুল গনি (Sakibul Gani)। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) অভিষেকে করলেন ৪০৫ বলে ৩৪১ রান। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে তো বটেই, গোটা বিশ্বে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে নজির আর কারও নেই। বিশ্বরেকর্ড করলেন সাকিবুল।
রঞ্জি ট্রফি এখন খেলা হয় নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। বাংলা দল যেমন খেলতে গিয়েছে কটকে। সেখানে ক্রুণাল পাণ্ড্য, কেদার দেওধরদের বঢোদরার বিরুদ্ধে লজ্জাজনক ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে বাংলার। ঠিক সেই সময়ই বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে অভিনব রেকর্ড গড়লেন বিহারের তরুণ। সল্ট লেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মিজোরামের মুখোমুখি হয়েছে বিহার। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে মিজোরামের বিরুদ্ধে ৬৮৬/৫ তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে বিহার। সেই ইনিংসে সাকিবুল একাই করেছেন ৩৪১ রান।
পাঁচ নম্বরে ব্য়াট করতে নেমে ৫৬টি চার ও দুটি ছক্কা মেরে বিশাল ইনিংস খেলেছেন সাকিবুল। মিজোরামের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই যিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রাখলেন। প্রতিপক্ষ বোলারদের মধ্যে ছিল ইকবাল আবদুল্লার মতো স্পিনার। যিনি ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। খেলেছেন আইপিএলেও। এক সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সে ছিলেন। মুম্বইয়ের স্পিনার এখন খেলেন মিজারামের হয়ে। মিজোরাম দলে আছেন তরুবর কোহলির মতো ক্রিকেটার। যদিও সাকিবুলের ব্যাটিং দাপটের সামনে সকলকেই অতি সাধারণ লেগেছে। শুধু ইকবালের বলেই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। ইকবালের ১০৪ বল খেলে ৫৩ রান করেছেন।
বিহার শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মোট ৫১২ মিনিট ব্যাট করেছেন ডানহাতি সাকিবুল। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের খবর পেয়ে দৌড়ে মাঠে যান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। যিনি ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য এখন কলকাতায় রয়েছেন। সাকিবুলের মারকাটারি ইনিংসে খবর পেয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সল্ট লেকে যাদবপুর মাঠে। সেখানে তরুণ ডানহাতির ব্যাটিং দেখে আসেন প্রধান নির্বাচকও। আপাতত জাতীয় ক্রিকেট মহলেও ৮ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের ম্যারাথন ইনিংস নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।