ABP Exclusive: প্রত্যাবর্তনের ইডেন, ৫ উইকেট ঈশানের, ৭ বছর পর দলে ফিরে ৩ শিকার প্রীতমের
Eden Gardens Exclusive: বাংলার দুই পেসারের দাপট। ১৯৮ রানে শেষ উত্তরপ্রদেশ। দিনের শেষে ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে বাংলাও।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: একজন শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিন মাস আগে। তারপর অসুস্থতা আর ফিটনেস সমস্যায় কার্যত পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ঈশান পোড়েল (Ishan Porel)। সেপ্টেম্বরে দলীপ ট্রফিতে খেলেছিলেন। তারপরই চিকেন পক্সে কাবু। মাঝে ফিটনেস সমস্যা। যা নিয়ে রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়েছিল বাংলা শিবিরের অন্দরেও।
অন্যজন যখন বাংলার হয়ে শেষ খেলেছিলেন, বিশ্বে করোনা অতিমারির প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। আফগানিস্তান ফের তালিবানদের কবলে চলে যায়নি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ক্রিকেট খেলছেন। কিলিয়ান এমবাপে নামে কাউকে সেভাবে চেনেন না ফুটবল গ্রহের কেউ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সচিব। বিনোদনের জগতে লতা মঙ্গেশকর, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি হোন বা খেলার দুনিয়ায় দিয়েগো মারাদোনা, শেন ওয়ার্নের মতো প্রবাদপ্রতিম চরিত্র, সকলেই জীবিত। তিনি, প্রীতম চক্রবর্তী (Pritam Chakraborty)। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ইডেনেই খেলেছিলেন শেষ রঞ্জি ম্যাচ। সেই ম্যাচে বাংলার অধিনায়ক ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। যিনি মাঝে রাজনীতিতে যোগ দেন। মন্ত্রী হন। ফের ফিরেছেন বাইশ গজে। বাংলার কোচ এখন লক্ষ্মীই।
মঙ্গলবার ইডেনে বল হাতে আগুন জ্বাললেন দুই পেসার। ঈশান ১৭ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট তুলে নিলেন। সাত বছর পর দলে সুযোগ পেয়ে প্রীতম ৬৩ রানে পেলেন ৩ উইকেট। বাংলার দুই পেসারের দাপটে ১৯৮ রানে শেষ হয়ে গেল উত্তরপ্রদেশের প্রথম ইনিংস।
দুই পেসারের প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বলছেন, 'ঈশান খুব প্রতিভাবান। ওর পক্স হওয়ায় সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে পারেনি। তবে আমরা নজর রেখেছিলাম। ফিটনেস নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওকে ট্রেনিংয়ের ভিডিও করে পাঠাতে বলেছিলাম। সেগুলি নিয়মিত দেখতাম। জানতাম দ্রুত মাঠে ফিরবে। ও সেই আস্থার মর্যাদা রাখল।'
প্রীতমকে নিয়েও খুশি লক্ষ্মী। বলছেন, 'স্থানীয় ক্রিকেটে খুব ভাল পারফর্ম করেছে প্রীতম। আমি ঠিকই করে নিয়েছি, স্থানীয় ক্রিকেটে যারা ভাল পারফর্ম করবে তাদের সুযোগ দেব। প্রীতম সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাল। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হবে।'
প্রথম দুই ম্যাচের জন্য বাংলার নির্বাচিত ক্রিকেটারদের তালিকায় প্রীতম ছিলেন না। মুকেশ কুমারের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট থাকায় বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব করছেন। উত্তরপ্রদেশ ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হন প্রীতম।
যদিও উত্তরপ্রদেশের ১৯৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৯ রানে বাংলার ৪ উইকেট তুলে নিয়ে প্রত্যাঘাত করেছে উত্তরপ্রদেশ। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন রিঙ্কু সিংহ। ইডেন ছেড়ে বেরনোর সময় এবিপি লাইভকে রিঙ্কু বললেন, 'উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভাল। তবে পেসাররা সাহায্য পাবে। বাংলাকে দ্রুত অল আউট করাটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য।'
বুধবার সকালে অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করে রয়েছে মনোজ তিওয়ারিদের জন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: উত্তরপ্রদেশ ১৯৮ (রিঙ্কু সিংহ ৭৯, প্রিয়ম গর্গ ৫৩, ঈশান পোড়েল ৫-৩৫, প্রীতম চক্রবর্তী ৩-৬৩) বনাম বাংলা ২৯/৪ (শিবম মাভি ৩-১৪)।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশকে ১৯৮ রানে শেষ করেও চাপে বাংলা, ক্ষোভ অভিষেকের বিতর্কিত আউট নিয়ে