IND vs SA: লজ্জার হার ইনিংসে, তবুও সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়ে কী সাফাই দিলেন রোহিত?
Rohit Sharma: দ্বিতীয় টেস্টে জিতলেও সিরিজ ড্র করেই ভারতীয় দলকে ফিরতে হবে দেশে। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পর রোহিত পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর সতীর্থদের।
সেঞ্চুরিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৩২ রানের ব্যবধানে হারতে হয়েছে। ব্য়াটিং, বোলিং সব বিভাগেই ভারতীয় দলকে (Indian Cricket Team) টেক্কা দিয়েছে। ৩১ বছর পর রামধনুর দেশে যে টেস্ট সিরিজ (Test Series) জয়ের স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্নও অধরাই রয়ে গেল। দ্বিতীয় টেস্টে জিতলেও সিরিজ ড্র করেই ভারতীয় দলকে ফিরতে হবে দেশে। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পর রোহিত পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর সতীর্থদের।
কী বলছেন ভারত অধিনায়ক?
সাংবাদিক বৈঠকে এসে রোহিত বলছেন, ''ভুলে গেলে চলবে না আমরা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে (Australia and England) কেমন পারফর্ম করেছিলাম। আমাদের ব্যাটিং ভাল ছিল। কখনও কখনও ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে যায় না। কখনও কখনও এমন খারাপ পারফরম্যান্স হয়ে যায়। এর মানে এমন নয় যে আমরা বিদেশের মাটিতে ব্যাটিং বাল করতে পারি না। কিন্তু কখনও কখনও প্রতিপক্ষ আমাদের থেকেও ভাল পারফর্ম করে। শেষ চারটি বিদেশ সফরে আমাদের পারফরম্যান্স কিন্তু আমাদের হয়েই কথা বলছে।'' রোহিত বলেন, ''টেস্ট জিততে হলে দল হিসাবে খেলতে হবে। এখানে আমরা টেস্ট শুরুর অনেক দিন আগে চলে এসেছিলাম। জানতাম এখানকার আবহাওয়া এবং পিচ কেমন। দলের প্রত্যেকে জানে তাদের থেকে কী চাওয়া হচ্ছে। প্রতিটা ক্রিকেটারের নিজস্ব পরিকল্পনাও থাকে। কিন্তু আমাদের ব্যাটারেরা পরীক্ষার মুখে পড়ে ব্যর্থ হয়। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তারা।''
গোড়ালির চোটের জন্য গোটা টেস্ট সিরিজেই নেই মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপের পর থেকেই গোড়ালির সমস্যায় বিব্রত বাংলার পেসার। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি। শামির যে গোড়ালির চোট রয়েছে, সেই খবর প্রথম লিখেছিল এবিপি লাইভ বাংলাই। তাঁর পরিবর্ত হিসাবেই আবেশকে দলে নিল ভারতীয় দল।
আবেশ এখন দক্ষিণ আফ্রিকাতেই আছেন। ভারতীয় এ দলের হয়ে সিরিজ খেলতে গিয়েছিলেন। তার আগে ওয়ান ডে সিরিজে ভারতের সিনিয়র দলেই ছিলেন তিনি। আপাতত বেনোনিতে ভারত এ-র হয়ে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচ খেলছেন। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিন ৫ উইকেট নিয়েছেন আবেশ।
৩৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৪৯ উইকেট রয়েছে আবেশের। ২২.৬৫ গড়ে। সাতবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। গত রঞ্জি ট্রফিতে ৩৮ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন মধ্য প্রদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।