Sunil Chhetri: কেরিয়ারের সেরা গোল, শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত কোনটা, বেছে নিলেন কিংবদন্তি সুনীল
Indian Football News: ভারতের হয়ে এ পর্যন্ত ৯২টি গোল করেছেন সুনীল। ৩৮ বছর বয়সেও তরুণ সতীর্থদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছেন সমানে।
নয়াদিল্লি: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (CR7) ও লিওনেল মেসির (Lionel Messi) পাশেই তিনি, সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যায় বর্তমানে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে এই তিনজনই তো সবার ওপরে।
ভারতের হয়ে এ পর্যন্ত ৯২টি গোল করেছেন সুনীল। ৩৮ বছর বয়সেও তরুণ সতীর্থদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছেন সমানে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তাঁর গোলে যে কত ম্যাচ জিতেছে ভারত, তার কোনও সঠিক হিসেব করা কঠিন।
কিন্তু তাঁর এই ৯২টি গোলের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ? “কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে গোল”, বলছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। সেই ম্যাচে প্রতি আক্রমণ থেকে জেজে লালপেখলুয়ার লব পেয়ে বক্সের মাথা থেকে সোজা গোলে শট নেন সুনীল। সেই গোলেই ভারত সে দিন বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিতে নেয় এবং তাদের ২০১৯-এর এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার রাস্তা সহজ হয়ে ওঠে।
সুনীল ছেত্রী সেই গোলের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “তখন জেজের পক্ষে ও ভাবে স্কুপ করে পাস দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ও ভাবে স্কুপ করা মোটেই সোজা নয়। এটা সবাই ঠিকমতো রপ্ত করতে পারে না। ও রকম একটা পাস দিয়ে একেবারে আমার সামনে বল রাখাটা ছিল বেশ কঠিন।”
সে বার মায়ানমার ও কিরঘিজস্তানকে হারানোর পরে ভারত তার পরের দুই ম্যাচে ম্যাকাওকেও হারায় এবং ২০১৯-এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। কিরঘিজদের সঙ্গে একই পয়েন্টে (১৩) থাকা ভারত সে বার গ্রুপের এক নম্বর দল হিসেবেই বাছাই পর্বের গণ্ডি পেরোয়। সুনীল বলেছেন, “সেই গোলটার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। সে জন্যই আমি এই গোলটাকেই বেছেছি। কারণ, ওই ম্যাচে ওদের হারাতে না পারলে হয়তো আমাদের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠাই হত না।”
তাঁর ফুটবলজীবনের সেরা মুহূর্ত কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তরে সুনীল বলেন, “এএফসি এশিয়ান কাপ ২০১৯-এ তাইল্যান্ডকে হারানোর মুহূর্ত।” তবে একটা নয়, আরও একাধিক মুহূর্তের কথাও বলেছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি। গত বছর কলকাতায় বাছাই পর্বের গণ্ডি পেরিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার মুহূর্তকেও সারা জীবন মনে রাখবেন সুনীল। কারণ, সে ছিল ভারতীয় ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত।
তাঁর মতে, “সেরা মুহূর্তের কথা যদি বলেন, তা হলে বলব, এক নয়, একাধিক রয়েছে। ২০১৬-র এএফসি কাপের মূলপর্বে ওঠার মুহূর্তটা যেমন। সে বার আমরা শুরুতেই এয়ারফোর্স ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলি। তবে দুঃখজনক ভাবে হেরে যাই। এশিয়ান কাপ ২০১৯-এ তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা আগুনে ফর্মে ছিলাম। থাপা, উদান্ত, আশিক, ঝিঙ্গনরা একেকটা আগুনের ফুলকি হয়ে ওঠে।”
এর পরে গত বছরের স্মৃতি টেনে এনে বলেন, “পরপর দু’বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা, তাও সহজেই, সে ছিল অভাবনীয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও ভোলার নয়।”
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন