Tokyo Paralympics: বয়সকে তুড়ি মেরে টোকিওতেও সোনা জয় পাখির চোখ দেবেন্দ্রর
২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় প্যারিলিম্পিয়ান হিসেবে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। এর ১২ বছর বাদে ফের রিও অলিম্পিক্স থেকে সোনা জিতেছেন দেবেন্দ্র।
নয়াদিল্লি: বয়স চল্লিশ ছুঁয়েছে। ঝুলিতে রয়েছে ২ টো সোনা। কিন্তু এখনও খিদে কমেনি। টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিয়ে সেখান থেকে আরও একটি সোনা জিততে মরিয়া ভারতের কিংবদিন্ত প্যারালিম্পিয়ান দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। তিনি মনে করেন বয়স এখটা সংখ্যা মাত্র। এখনও নিজের সেরা পারফর্ম করতে পারবেন তিনি, এটাই তাঁর আশা।
২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিক্সে প্রথম প্যারিলিম্পিয়ান হিসেবে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। এর ১২ বছর বাদে ফের রিও অলিম্পিক্স থেকে সোনা জিতেছেন দেবেন্দ্র। গত ৭ মাস ধরে গাঁধীনগরে সাইয়ের সেন্টারে অনুশীলন করেছেন দেবেন্দ্র। এই সময়ের মধ্যে পরিবারের সঙ্গেও সময় সেভাবে দিতে পারেননি। কোভিডের জন্য অনেক বিধিনিষেধও মানতে হয়েছে। তবে যাবতীয় প্রতিকূলতা সরিয়ে রাজস্থানের এই অ্যাথলিট এবারও নিজের নামের সুবিচার করতে চান।
এক সাক্ষাৎকারে দেবেন্দ্র বলেন, 'দেশের জন্য তৃতীয় সোনা এনে দিতে আমি আমার সেটারা দেওয়ার চেষ্টা করব টোকিওয়। শুধু দেশের জন্য পদক আনাই নয়, আমি নতুন রেকর্ডও গড়ার চেষ্টা করব।' নিজের প্রস্তুতি নিয়ে খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত হওয়া দেবেন্দ্র আরও বলেন, 'প্রস্তুতি পর্ব বেশ ভালই হয়েছে। গত জুনে ফাইনাল ট্রায়ালে আমি ৬৫.৭১ মিটার দূরত্ব জ্যাভলিন ছুঁড়তে পেরেছিলাম। ৭ কেজি কমিয়েছি, ফলে গতি বেড়েছে। অনুশীলনে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে।'
কিন্তু এই বয়সে কি আদৌ টোকিওয় বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করে পদক জয় সম্ভব? দেবেন্দ্র বলেন, 'আমি চল্লিশ ছুঁয়েছি। এই বয়স নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলেছে। কিন্তু এরফলে আমার অনুশীলনেও অনেক সুবিধে হয়েছে। আমি ২০ বছরের একজন অ্যাথলিটের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারছি। তাঁদেরকে সমানভাবে টেক্কা দিতে পারছি। নিজের ওজন, গতির দিকেও খেয়ার রাখতে পারছি। আমার মনে হয় ৪০ শুধুই একটা সংখ্যা মাত্র।'
এথেন্সে নিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন রিওতে। এবার কি ফের সেই রেকর্ডও ভাঙতে চলেছেন টোকিওয়। সেদিকেই তাকিয়ে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরাও।