Virat Kohli: আজমলের দুসরা বুমেরাং করে সেদিন থেকে ২২ গজে হয়ে উঠেছিলেন 'চেস মাস্টার'
Virat Kohli: প্রতিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দেশকে জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু সেই চেস মাস্টারের শুরুটা বোধহয় হয়েছিল সেদিনই। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঢাকায় খেলতে নেমেছিলেন বিরাট।
নয়াদিল্লি: বিশ্ব ক্রিকেট তাঁকে চেস মাস্টার হিসেবেই চেনে। বারবার বড় রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দেশকে জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু সেই চেস মাস্টারের শুরুটা বোধহয় হয়েছিল সেদিনই। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঢাকায় খেলতে নেমেছিলেন বিরাট। আর সেই ম্যাচেই পাক বোলারদের নির্বিষ করে ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন বিরাট। ৩৩০ রান তাড়া করতে নেমে বিরাটের ইনিংসের ওপর ভর করেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। আজকের ওস্তাদের মার সিরিজে সেই ইনিংস নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন -
বিরাটের অনবদ্য ১৮৩
নিজের ওয়ান ডে কেরিয়ারের সর্বাধিক রানের ইনিংসটি সেদিন খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। এশিয়া কাপের মঞ্চ, তার ওপর আবার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৩২৯/৬ বিশাল স্কোর বোর্ডে তুলে নেয়। নাসির জামশেদ ও মহম্মদ হাফিজ দুজনেই সেঞ্চুরি করেন। এটি একটি বাছাইপর্বের ম্যাচ ছিল এবং ভারতকে জিততেই হত।
বিশাল ৩৩০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গৌতম গম্ভীর শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। সেখান থেকেই ম্যাচ বের করে টিম ইন্ডিয়া। সচিন তেন্ডুলকর ৫২ এবং রোহিত শর্মা ৬৮ রান করেছিলেন। ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন বিরাট। ২২ টি চার এবং একটি ছক্কা ছিল কোহলির ইনিংসে। ১৩ বল বাকি থাকতে ভারত সেই ম্যাচ জিতে নেয়। সেই ম্যাচে সচিনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে ১৩৩ রান বোর্ডে যোগ করেছিলেন বিরাট।
বিরাটের গেমপ্ল্যান
সেই সময় পাকিস্তানের বোলিং অ্য়াটাক ছিল ভীষণ শক্তিশালী। শাহিদ আফ্রিদি, উমর গুল, সৈয়দ আজমন, আজিজ চিমা, ওয়াহাব রিয়াজ, মহম্মদ হাফিজের মতো ব্যক্তিত্বরা ছিলেন। আজমলের দুসরাকে সেদিন একপ্রকার কাজেই লাগাতে দেননি বিরাট। কভারের ওপর দিয়ে বারংবার বাউন্ডারি বের করছিলেন তিনি। দলকে জেতানোই নয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন বিরাট।