Vinesh Phogat: ''বিনেশকে সোনাজয়ীর মত করেই বরণ করা হবে'', জানিয়ে দিলেন মহাবীর ফোগত
Mahavir Phogat On Vinesh Phogat: বুধবার রাতে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, বিনেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস। হতাশাই সঙ্গী।
চারখি দাদরি: প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি ফ্রি স্টাইল কুস্তির ইভেন্টে ফাইনালে পৌঁছেও বাতিল হয়ে যেতে হয়েছিল। সোনা তো দূর অস্ত, যে রুপোর পদকের জন্য ক্রীড়া আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন বিনেশ, সেই আবেদনও নাকচ হয়ে গিয়েছে। বুধবার রাতে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (IOA) জানিয়ে দিয়েছে, বিনেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস। হতাশাই সঙ্গী। কিন্তু বিনেশের কুস্তির হাতেখড়ি যাঁর হাতে সেই মহাবীর ফোগত ভেঙে পড়ছেন না। তিনি বলছেন, সোনার মেয়ের মতই বিনেশকে বরণ করা হবে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাবীর ফোগত বলেছেন, ''আগামী ১৭ আগস্ট বিনেশ দেশে ফিরবে। ওকে আমরা সোনাজয়ীর মত করেই বরণ করব। আমরা আশা করেছিলাম যে রায় বিনেশের পক্ষে যাবে। কিন্তু তার আশা নেই আর। তবে আমরা হাল ছাড়ব না। আমরা চেষ্টা করব বিনেশ যেন ২০২৮ অলিম্পিক্সে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে পারে। সঙ্গীতা ও রিতুকেও আমরা ২০২৮ অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি করব।''
ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার (IOA) প্রেসিডেন্ট পি টি ঊষা (PT Usha) জানিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। হতাশ। ক্যাসের এক সদস্যের বিচারক কমিটি বিনেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা ও বিশ্ব কুস্তি সংস্থার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আবেদন করতে পারেন বিনেশ। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সব দিক। বিনেশ ফোগতের কেসে চেষ্টার কোনও কসুর রাখতে চায় না আইওএ। বিনেশের দাবি ছিল মূলত দুটি। এক, তাঁকে ফাইনালে নামতে দেওয়া হোক। দুই, তা না হলে তাঁকে যুগ্মভাবে রুপোজয়ী ঘোষণা করা হোক। প্রথম দাবিটি শুরুতেই নাকচ করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত। তবে যুগ্মভাবে রুপোর পদকের আবেদনের শুনানি হয়েছিল। যেখানে বিনেশের হয়ে সওয়াল করেছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী হরিশ সালভে। কিন্তু ক্রীড়া আদলতের তরফে এবার সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, বিনেশ ও তাঁর কোচিং টিমকে কাঠগড়ায় তুললেন কিংবদন্তি পি টি ঊষা। যিনি এখন ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার (IOA) প্রেসিডেন্টও। তিনি আইওএ-র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ব্যাপারে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার চিকিৎসকদের কিছু করার নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিট ও তাঁর কোচিং টিমের কাজ বলেও জানিয়েছেন পি টি ঊষা।