Neeraj Chopra: চলতি বছরেই জ্যাভলিনে ৯০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে মরিয়া নীরজ চোপড়া
Neeraj Chopra Update: গত ২ বছর ধরে যে চেষ্টা তিনি করে চলেছেন। তবে চলতি বছরেই সেই লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে আশাবাদী নীরজ।
পানিপথ: দেশের প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2023) পদক জিতেছেন। এমনকী ট্র্য়াক অ্য়ান্ড ফিল্ডে অলিম্পিক্সে প্রথম সোনা জিতেছিলেন তিনি। সেই নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) এবার তাঁর নিজের লক্ষ্যস্থির করে ফেললেন। অলিম্পিক্স পদক জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়ে গেলেও ৯০ মিটার দূরত্ব জ্য়াভলিন ছোড়া লক্ষ্য পানিপথের তরুণের। গত ২ বছর ধরে যে চেষ্টা তিনি করে চলেছেন। তবে চলতি বছরেই সেই লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে আশাবাদী নীরজ।
কী বলছেন নীরজ চোপড়া?
গত বছর জুনে স্টকহোমে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের কেরিয়ারের সেরা ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার বলেন, ''৯০ মিটার দূরত্ব করে অতিক্রম করতে পারব, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক প্রশ্ন উঠছিল। আশা করি চলতি বছরেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।'' উল্লেখ্য টোকিও অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন নীরজ।
কিছুদিন আগে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন নীরজ। শেফালিদের সঙ্গে ফাইনালের আগে কথাও বলেন তিনি। নীরজ বলছেন, ''ওঁদের সঙ্গে দেখা করে দারুণ লেগেছে। অনেকই বলছে যে আমার সঙ্গে দেখা করে ওঁরা জয়ের রসদ পেয়ে যায়। কিন্তু আমি তেমনটা একদমই মনে করি না। শেফালিরা নিজেদের দক্ষতায় বিশ্বকাপ জিতেছে।''
নীতা আম্বানির বিশ্বাস
নীতা আম্বানির আশা ডব্লিউপিএল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের তরুণীদের আরও বেশি করে খেলতে এবং খেলাধুলোকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। 'আমি আশা করছি এর (ডব্লিউপিএল) ফলে দেশের তরুণীরা ভবিষ্যতে ক্রীড়াকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ হবে। তারা নিজের মনের কথা শুনে, নিজের স্বপ্নপূরণে উদ্যোগী হবে।' আশাবাদী নীতা। ডব্লিউপিএলের প্রথম ম্যাচ দেখতে পুরুষ, মহিলা নির্বিশেষে কাতারে কাতারে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচ চাক্ষুষ করতে সশরীরে মাঠে উপস্থিত ছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কর্ণধার নীতা আম্বানিও। তাঁর লক্ষ্যই আরও বেশি করে মহিলাদের খেলাকে পেশা হিসাবে বেছে নিতে উদ্বুদ্ধ করা। মুম্বই কর্ণধার উদ্বোধনী ম্যাচের পরিবেশ দেখে আপ্লুত। তিনি বলেন, 'মহিলাদের ক্রীড়াক্ষেত্রের জন্য এটা একটা আইকনিক দিন এবং মুহূর্ত। ডব্লিউপিএলের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত ও উৎসাহিত।'
ম্যাচের দিকে তাকালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফ্রাঞ্চাইজির শুরুটাও কিন্তু স্বপ্নের মতোই হল। হরমনপ্রীতের নেতৃত্বাধীন দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সঠিক মিশ্রণ রয়েছেন, যা দলকে ভারসাম্য প্রদান করে। দলগতভাবে মুম্বই ঠিক কতটা শক্তিশালী, তার ছোট্ট একটা উদাহরণ কিন্তু প্রথম ম্যাচেই পাওয়া গেল। দলের অধিনায়ক একদিকে যেখানে ৩০ বলে ৬৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন, সেখানে বল হাতে বাংলার সাইকা ইশাক চারটি উইকেট নেন। বল, ব্যাট হাতে অ্যামেলিয়া কেরও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন।