High Speed Internet: গোটা নেটফ্লিক্স ডাউনলোড হবে মাত্র ১ সেকেন্ডে ! কোটি কোটি গেম-গান ডাউনলোড হবে চোখের পলক ফেলার আগেই
High Speed Internet Service: ১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড - এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী দিনে পাওয়া যাবে, এমন সম্ভাবনাই দেখিয়েছেন জাপানের গবেষকরা।

High Speed Internet: সেই কোন ছোটবেলায় ফিজিকাল সায়েন্সের বইতে আমরা প্রায় সকলেই পড়েছি আলোর গতিবেগ সবচেয়ে বেশি, সবার থেকে বেশি। কার্যত তেমনই স্পিডের বা তার থেকেও বেশি গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা কিন্তু আসতে চলেছে আগামী দিনে। শুনে অবিশ্বাস্য লাগছে? কিন্তু অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো এই প্রযুক্তির সাহায্যেই আমাদের পরের প্রজন্ম 'বাফারিং' শব্দটা শুনেও অবাক হবে। কারণ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বাফারিংয়ের অভিজ্ঞতা তাদের আর হবে না। অন্তত বিশেষজ্ঞরা জাপানের সাম্প্রতিক আবিষ্কার সম্পর্কে তেমনটাই ধারণা করছেন।
বিষয়টা ঠিক কী ?
ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে ডাউনলোড করতে বসে ঝক্কি সামলাতে হয়নি, এ বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা হাতেগোনা। একবার না একবার ঝামেলায় পড়তে হবেই আপনাকে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাউনলোড মানেই বিষয়টা মারাত্মক সময়সাপেক্ষ। অনেকেই হয়তো মনে মনে ভাবেন আহা যদি এমন হতো যে চোখের পলক ফেলার আগেই গান, সিনেমা, ভিডিও, অডিও, গেম - সব ডাউনলোড হয়ে যেত... সেই স্বপ্নই হয়তো ভবিষ্যতে পূরণ হতে চলেছে। কারণ জাপান আবিষ্কার করে ফেলেছে এক দারুণ জিনিস, যাকে ম্যাজিক বললেও কমই বলা হবে।
১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড - এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী দিনে পাওয়া যাবে, এমন সম্ভাবনাই দেখিয়েছেন জাপানের গবেষকরা। গত মাসে (জুন, ২০২৫) জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (NICT) প্রযুক্তির ময়দানে কার্যত নিঃশব্দে একটা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে। বিশ্বের ইন্টারনেট স্পিডের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা। ডেটা ট্রান্সমিট করেছেন ১.০২ পেটাবাইটস পার সেকেন্ডে, যার অর্থ হল প্রতি সেকেন্ডে ১০২০০০০ গিগাবাইট ডেটা ট্রান্সমিট করা সম্ভব হবে।
১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড - এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবার সাহায্যে ঠিক কী কী কাজ কত তাড়াতাড়ি হতে পারে ? (গবেষণা অনুসারে বিশেষজ্ঞদের মতে সম্ভাবনা)
- ধরুন একটা গেমিং অ্যাপে থাকা যাবতীয় গেম ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে ডাউনলোড হয়ে যাবে। এইসব গেম কিন্তু যথেষ্ট ভারী মাত্রার ভিডিও গেম হবে।
- আবার ধরা যাক নেটফ্লিক্সের সব কনটেন্ট, মানে যা আছে, সব চোখের পলক ফেলার আগে, বলা ভাল অ্যাপ খুলতে যত সময় লাগে, তার থেকেও কম সময়ে ডাউনলোড হয়ে যাবে।
- এই ইন্টারনেটের স্পিড এতই বেশি হবে যে ১০ মিলিয়ন ভিডিও একসঙ্গে চালানো যাবে আর এই ভিডিওগুলি সব আলট্রা এইচডি 8K রেজোলিউশনের ভিডিও হলেও অসুবিধা হবে না।
- গান ভালবাসেন? ফোনে বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ডাউনলোড করে রাখেন? তাহলে এই অতিরিক্ত স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা আপনার দারুণ কাজে লাগবে। কারণ মাত্র ১ সেকেন্ডে ৬৭ মিলিয়ন গান ডাউনলোডের ক্ষমতা রাখে ১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড - এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা। অথবা ১,২৭,৫০০ বছর অবিরাম গান শোনার সুবিধা পাবেন।
- বলা হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় উইকিপিডিয়ার পরিমাপ প্রায় ১০০ জিবি। ১.০২ পেটাবাইটস/সেকেন্ড - এই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবার সাহায্যে ইংরেজি ভাষায় থাকা উইকিপিডিয়ার তথ্য প্রায় ১০ হাজার বার ডাউনলোড করতে পারবেন মাত্র ১ সেকেন্ডে।
সাধারণ মানুষ কবে পাবেন এই হাই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা ?
দুর্ভাগ্যবশত খুব তাড়াতাড়ি এই দুরন্ত গতির ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। কারণ গ্রাহকরা এখন যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন, তা এখনও টেরাবিটের গতিতেই পৌঁছোতে পারেনি। সেখানে পেটাবাইটসে পৌঁছনো বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আশার কথা একটাই যে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা, ডেটা সেন্টার অপারেটর এবং সরকারের তরফে নজর দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়ে। তাই দূর ভবিষ্যতে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো এই দুরন্ত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা উপভোগ করতে সক্ষম হবে।
তথ্য সূত্র- বিজনেস টুডে (Business Today)






















