Facebook Account: এক ধাক্কায় ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল মেটা, কেন এই সিদ্ধান্ত ?
Meta Blocks Facebook Account: টেক জায়ান্ট মেটা আবার ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সেলার প্ল্যাটফর্ম থেকেও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে।

Meta Blocks Facebook Account: সম্প্রতি মেটা ২৩ হাজার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। মূলত এই ধরনের পেজ ও অ্যাকাউন্টগুলি থেকে জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক কাজ করা হত বলে (Facebook Account) জানা গিয়েছে। আর এই অপরাধের শিকার হতেন মূলত ভারতীয়রা। তাছাড়া বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ব্রাজিলের ব্যবহারকারীদেরও টার্গেট করত।
গতকাল ৭ মে বুধবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেটা জানিয়েছে, 'এই ধরনের জালিয়াতরা ডিপফেক ব্যবহার করতেন, সঙ্গে আরও নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে নিজেদের প্রচার করতেন যেন তারা আদপে ভারত ও ব্রাজিলের কোনও জনপ্রিয় পার্সোনাল ফিনান্স কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং ক্রিকেট খেলোয়াড়, বড় ব্যবসায়ী এবং এভাবেই তারা জালিয়াতির বিনিয়োগ স্কিম ও ভুয়ো গ্যাম্বলিং ওয়েবসাইটের প্রচার করত।
যে সমস্ত মানুষ এই জালিয়াতদের ফঁদে পা দিতেন, তাদের প্রথমে রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাওয়া হত একটি মেসেজিং অ্যাপ প্ল্যাটফর্মে যেখানে তাদের বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এমন কিছু ভুয়ো ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হত রিডাইরেক্ট করে যা হুবহু গুগলের প্লে-স্টোর পেজের মত দেখতে। আর সেই ভুয়ো ওয়েবসাইট থেকে তাদের গ্যাম্বলিং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য নির্দেশ দিত।
বিনিয়োগ সংক্রান্ত জালিয়াতি মূলত এমন কিছু কিছু স্কিমের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে যার আদপে অস্তিত্বই নেই। ক্রিপ্টোকারেন্সি, রিয়েল এস্টেট, শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করে দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাত এই সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলি। সমাজমাধ্যমে, ইমেলে, বা ফোনকলে কিংবা কোনও কোচিং গ্রুপ খুলে সেখানেও এই ধরনের 'এক্সক্লুসিভ' বিনিয়োগের স্কিম সম্পর্কে তথ্য দিত এই অ্যাকাউন্টগুলি।
টেক জায়ান্ট মেটা আবার ফেসবুক মার্কেটপ্লেস সেলার প্ল্যাটফর্ম থেকেও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। বেশিরভাগ সময় এই ধরনের জালিয়াতরা কোনও পণ্য কেনার সময় ইচ্ছে করে বেশি টাকা দিয়ে দিত, তারপর রিফান্ড চাইত সেলারের কাছ থেকে। আর তখনই সাইবার জালিয়াতির শিকার হতেন সেই সেলার। এই সমস্ত জালিয়াতের ঘটনার সাপেক্ষে মেটা জানিয়েছে, 'কোনও পণ্য কেনার সময় যখনই আগাম টাকা দেওয়ার কথা বলা হবে, তখনই সতর্ক হতে হবে। আর এই ধরনের অ্যাকাউন্টকেই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।'
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারকাদের মুখ ব্যবহার করে জালিয়াতি রুখতে মেটা সম্প্রতি কার্যকর করেছে ফেসিয়াল রেকগনিশন টেকনোলজি। মেটা প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট রিকভারির জন্যও দ্রুত আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশনের সুবিধে দেওয়া হয়েছে'।
এমনকী মেটার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে তারা কেন্দ্র সরকারের বেশ কিছু এজেন্সির সঙ্গে কাজ করছে যেমন টেলিকম মন্ত্রক, ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক, ভারতীয় সাইবার অপরাধ কো-অর্ডিনেশন সেন্টার ইত্যাদি, আর এর মাধ্যমে মেটা ডিজিটাল স্বাক্ষরতার প্রসার ঘটানো এবং কর্মশালার মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করছে মানুষকে।






















