৭টায় বাংলা (১): লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বাড়ল অভিষেকের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বাড়ল অভিষেকের। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে মহিলা সভানেত্রী হিসেবে মনোনয়ন। সায়নী ঘোষকে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদে মনোনয়ন। দায়িত্ব পেয়ে সায়নী বলেন, 'আমার আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। এটা অনেক বড় দায়িত্ব। আমি দিদির কাছে কৃতজ্ঞ। নিজের জায়গা আমাকে দেওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ধন্যবাদ। আশা করি, আমি তাঁদের হতাশ করব না।' তিনি আরও জানান, 'আমি এখানে আর্ম চেয়ার পলিটিক্সের জন্য আসিনি। ভোটের পরে ৪ বছর দেখা পাওয়া যাবে না এই ধরনের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। দল বুঝে গিয়েছে আমি সত্যিই রাজনীতি করতে চাই। মানুষের মধ্যেও সেই আশা আনতে হবে।'
এই প্রসঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'নবীনদের না আনলে দল আরও দুর্বল হবে। একদিন মমতাও নবীন অবস্থায় রাজনীতি শুরু করেছিলেন। নবীনরা কাজ করে পরে দলে এগিয়ে যায়, এটাই দলের নিয়ম। যুবর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন বলেন বৃহত্তর দায়িত্ব পেয়েছে অভিষেক। নিজের দায়িত্বে একশোয় একশো পেয়েছে বলেই তাঁকে বৃহত্তর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য হলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ভর রাজনৈতিক দল। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় পদ পাবেন সেটাই স্বাভাবিক।' একই সুরে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'পিসি-ভাইপোর দল। পিসি সুপ্রিমো, ভাইপো দ্বিতীয়।'
ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে হবে, নেতৃত্বকে কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে বললেন, ‘গরু-কয়লা কেলেঙ্কারিতে যেন কেউ না জড়িয়ে পড়েন। কথায় কথায় লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার নয়।’
শুভ্রাংশু-জল্পনার মধ্যেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে উধাও সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া সেলের গ্রুপ ছাড়লেন বিজেপি সাংসদ। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি ঘোষণার পরই গ্রুপ ছাড়েন সৌমিত্র। দলের আসল গ্রুপে আছি, বিতর্কের মুখে দাবি সৌমিত্রর।
এবার বেসুরো প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। দিন পনেরো আগে তাঁর মাতৃ বিয়োগের পর সমবেদনা জানিয়ে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোনে খোঁজ নেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বিজেপির স্থানীয় নেতারা খোঁজ নিলেও, যোগাযোগ করেননি রাজ্য নেতারা। এনিয়ে অভিমানী প্রবীর ঘোষাল।
এবার পুরনো দল তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা মালদা জেলা পরিষদের সদস্যার। ভোটের আগে, ৮ মার্চ, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ ১৪ জন সদস্য যোগ দেন বিজেপিতে। ভোটের ফল ঘোষণার পর, এবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছে আবেদন জানালেন জেলা পরিষদ সদস্যা ডলিরানি মণ্ডল। তিনি জানান, দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। এখানে কাজ করা যাচ্ছে না, তাই আবার তৃণমূলে ফিরতে চাই। কাজ করতে চাই ভূতনির বাসিন্দাদের জন্য। এনিয়ে তৃণমূল অথবা বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
'স্তম্ভিত করার মতো খবর', ট্যুইট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। কেশপুরে বিরোধীদের সামাজিক বয়কটের পোস্টার। সামাজিক বয়কট নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ট্যুইট। ট্যুইটে নির্মলা লেখেন, 'বাংলায় যাতে সবাই সুরক্ষিত থাকেন দেখুন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে কেউ একঘরে না হয়ে যান। না হলে এটা সত্যি লজ্জার।'