West Bengal Politics: 'এধরনের মন্তব্য করে শৃঙ্খলা ভাঙা হচ্ছে', সৌমিত্র-রাজীবের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলীপের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের দিনেই রাজ্য বিজেপিতে বিদ্রোহ। যুব মোর্চার পদ ছেড়ে শুভেন্দু ((Suvendu Adhikari)-দিলীপের (Dilip Ghosh) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সৌমিত্র (Saumitra Khan)। সৌমিত্রর পর এবার শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক রাজীব (Rajib Banerjee)। ফেসবুকে এবার শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করে পোস্ট রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি লিখেছেন, "বাংলার মানুষ ২১৩ আসন দিয়ে যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ না করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোই লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিরোধী দলনেতাকে বলব সেদিকে নজর দিতে।"
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "ফেসবুকে কে কী পোস্ট করেছে তা নিয়ে রাজনীতি হয় না। মনের দুঃখ-কষ্ট বলার একটা ভাল জায়গা। অনেক বড় বড় লোকরাও বলে থাকেন। রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও মাঝেমাধ্যে বলে থাকেন। এটা নিয়ে দলের কোনও বক্তব্য নেই। ওঁনাকে জিজ্ঞাসা করাই ভাল। মন্ত্রী ছিলেন, এখন নেই, তাই হতাশা হয়েছে। তাই কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক। আমাদের দলে অনেক নতুন লোক এসেছেন। তাঁরা দলকে বোঝেন না, আদর্শ বোঝেন না, নিয়মও বোঝেন না। সেটা বোঝার পর কথা বলা উচিত। দল কোনও লঞ্চিং প্যাড নয়। আমাদের দলে হাজার হাজার কর্মী, এমএলএ, এমপি আছেন তাঁরা স্বপ্ন দেখেন না যদি কোনও প্রাপ্তি কম ঘটে। তাঁরা এইভাবে বেলাগাম কথা বলেন না। এতে নেতাদের ওজন কমে। তাঁর প্রতি লোকের ধারণা খারাপ হয়ে যায়। দলের কাজের প্রতি, নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখা উচিত। রাজ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সেটাও বলা উচিত।"
আজ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) আক্রমণ করে বলেন, "আমাদের দলের সভাপতি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না। বাংলায় বিজেপি যেভাবে চলছে তাতে ভাল কিছু হবে না।" এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার কাছে এই নিয়ে কোনও চিঠি বা কোনও বক্তব্য আসেনি। আসুক তারপর বলব।"
এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, "অনেকেরই এরকম অভ্যাস রয়েছে। এগুলো সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভাল। রাজ্য মন্ত্রিসভাও যেদিন গঠন হয়েছিল সেদিন যাঁরা ফেসবুক করতে ভালবাসেন এমন তৃণমূল কংগ্রেস এমএলএরা পোস্ট করেছিলেন। সেদিনও কেউ এগুলো সিরিয়াসলি নেয়নি। আজকের ফেসবুক লাইভটাও আমি সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। সৌমিত্র খাঁ আমার ভাই হয়। ওঁকে আমি রাজনৈতিক সতীর্থ বলে মনে করি। আমি দিল্লি গেলে সৌমিত্রর বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া করি। তাই সৌমিত্র কী বলেছে না বলেছে তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি সৌমিত্র শ্রীবৃদ্ধি চাই। তার জন্য সৌমিত্র আমার সহযোগিতা চাইলে আমি তা করব।"