News
News
টিভিabp shortsABP শর্টসভিডিও পডকাস্ট
X

LLIVE UPDATE: আজ রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ, চরম দুর্ভোগে রোগীরা

এনআরএসে কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ। চরম দুর্ভোগে রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। এসএসকেএমের সামনে রাস্তা অবরোধ।

আউটডোরে জুনিয়র চিকিত্সকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। মৃতের নাম হিমাংশু মান্না। বয়স ৪৫ বছর। বাড়ি কেশিয়াড়িতে। প্রতিবাদে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালের সামনে রাস্তাও অবরোধ করেন তাঁরা। রাস্তায় বসে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর আত্মীয়রা। এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও। বন্ধ ইমার্জেন্সি পরিষেবা। এমনকী বন্ধ করে রাখা হয়েছে হাসপাতালের মূল গেট। গেট আগলে দাঁড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা। মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। কার্যত রাস্তা থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরিজনকেই হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট

কলকাতা: এনআরএসে জুনিয়র চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার জেরে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এনআরএসের মেন গেটে তালা দিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
আজ, বুধবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে ৭ সিনিয়র চিকিত্সকদের সংগঠন।এর জেরে চরম হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের।
এসএসকেএমের আউটডোরে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। বন্ধ ইমার্জান্সির গেট। পরিষেবা না পেয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ রোগীর আত্মীয়দের। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। রোগীর পরিজনরা রাস্তায় শুয়ে অবরোধ করে এসএসকেএমের সামনে রাস্তা।

জেনে নেব গতকালের ঘটনাক্রম:

রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে ট্যাংরার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী মহম্মদ শাহিদ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হন। সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব হয় মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, সোমবার বিকেলে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, বিষয়টি জানাতে বহুবার ডাকা সত্ত্বেও প্রথমে কোনও চিকিত্সক রোগীকে দেখতে আসেননি। এরপর একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
রোগীর পরিবারের দাবি, রাত ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এন্টালি থানার পুলিশ। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে তেড়ে যান রোগীর আত্মীয়রা। দু’পক্ষ জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতিতে। শুরু হয় মারপিট।
মৃতের পরিজনদের ছোড়া ইটের ঘায়ে গুরুতর আহত হন পরিবহ মুখোপাধ্যায় নামে এক জুনিয়র ডাক্তার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়। মৃত রোগীর এক আত্মীয়কেও রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারা হয়। এরপরই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মারপিটে জড়িয়ে পড়ে জুনিয়র ডাক্তার ও রোগীর পরিজনরা। রোগীর আত্মীয়দের ইটের ঘায়ে গুরুতর আহত হয় জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারা হয় মৃতের এক পরিজনকেও। আর এরপরই রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকি কর্মবিরতিতে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা।
রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তও করা হয়েছে।মৃতের ৫ আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গাফিলতির জেরে মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।