Alipur Duar: পুরুলিয়ায় এখনও খোঁজ মেলেনি বাঘিনীর, এবার মথুরা চা বাগানে খাঁচাবন্দি হল চিতাবাঘ
Alipurduar Update:সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে চার বছরের চিতাবাঘটি। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্নও নেই। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার: একদিকে পুরুলিয়ার পাহাড়ে চলছে বাঘিনীর খোঁজ। এরই মধ্যে আলিপুর দুয়ারে (Alipur Duar) মথুরা চা বাগানে (Mathura Tea Garden) খাঁচাবন্দি হল আরও একটি চিতাবাঘ। এই নিয়ে গত এক মাসে এই এলাকায় তিনটি চিতাবাঘ ধরা পড়ল। বন দফতর সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে চার বছরের চিতাবাঘটি। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্নও নেই। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিতাবাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে বাঘিনীর খোঁজ চলছে অনবরত। চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাগে আসেনি বাঘিনী। উড়িষ্যা থেকে ঝাড়খন্ড হয়ে রাজ্যের ঝাড়গ্রামের পর বর্তমানে পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানা এলাকার রাইকা পাহাড়ের কেশরা জঙ্গলের আশেপাশে অবস্থান রয়েছে এই বাঘিনীর। কখনও ভারারিয়া পাহাড়, কখনও ঝাড়ুয়া পাহাড় - রেডিও কলারের মাধ্যমে বাঘিনীর গতিবিধি জানতে পেরেছে বন দফতর। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার রাহামদা গ্রামের বেশ কিছু গবাদি পশুর উপরে হামলা করেছে বাঘিনী। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকটি গবাদি পশুর। তার ফলে আতঙ্ক রয়েছে গ্রামে এবং সংলগ্ন এলাকায়। রায়হানদা গ্রামের শবরটলা এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামের চারধারে জাল পাতা হয়েছে, যাতে গ্রামবাসীদের উপরে বাঘিনী হামলা না করতে পারে। বাঘিনীকে বাগে আনতে ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে খাঁচার সংখ্যা। তিন থেকে খাঁচার সংখ্যা করা হয়েছে পাঁচ। বিভিন্ন জায়গায় গবাদি পশু রেখে টোপ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বাঘিনীকে। যদিও সেই টোপ এখনও ছুঁয়েও দেখেনি বাঘিনী। বনদফতরের প্রয়াস চলছে বাঘিনীকে বাগে আনার। তবে এখনও তাকে খাঁচা বন্দি করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার রাইকা জঙ্গল এবং রাহামদা গ্রামের মাঝে পাঁচটি খাঁচা পাতা হয়। খাঁচাগুলিতে মুরগি এবং ছাগল টোপ হিসেবে রাখা হয়েছিল। যদিও সে টোপে ধরা দেয়নি বাঘিনী। তবে সন্ধের দিকে রাইকা জঙ্গলের পিছনে একটি জলাশয়ে জল খেতে আসে। বাঘিনীক বাগে আনতে খাঁচা পাতা হয়েছে। ঘুম পাড়ানি গুলি নিয়ে তৈরি বনদফতরের ট্রানকুলাইজার টিম। কিন্তু দেখা নেই রয়্যাল বেঙ্গলের।
উল্লেখ্য়, প্রায় ২ সপ্তাহ আগে ওড়িশার সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে উধাও হয় দুই বাঘিনী, জিনাত ও যমুনা। গলায় পরানো রেডিও কলারের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ডে জিনাতের খোঁজ মেলে। যমুনা পাড়ি দিয়েছিল বাংলায়। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির শিমুলপালে কটাচুয়ার জঙ্গলে তার গতিবিধি টের পান বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু রাতেই অবস্থান বদলে ফেলে বাঘিনী।