West Bengal Assembly Election 2021: 'নির্বাচন কমিশন বিজেপি যা চায় তাই করছে', ডিজি বীরেন্দ্রর বদলি প্রসঙ্গে বললেন সৌগত রায়
এডিজি আইনশৃঙ্খলার পরে এবার অপসারিত হলেন ডিজিও। ভোটের মুখে অপসারিত করা হল রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে সরাল নির্বাচন কমিশন। ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না বীরেন্দ্র। রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি হলেন নীরজনয়ন পাণ্ডে।
এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhttacharya) বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। আমাদের ১৩৮জন কর্মী খুন হয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ তদন্তের আগে আত্মহত্য়া বলে চালিয়ে দিয়েছে। কোনও ধরনের সুরক্ষা পাইনি। নির্বাচন কমিশন জেনে বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা সৌগত রায় বলেন, "নির্বাচন কমিশন বিজেপি যা চায় তাই করছে। বিজেপির ইচ্ছা মতো কাজ করছে।"
বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, ""মানুষে মানুষে ভাগাভাগি হয় না। নন্দীগ্রামই শিখিয়েছে সম্প্রীতি। সারা বিশ্বে নন্দীগ্রাম পৌঁছে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষের কথা আমি দিল্লিতে পৌঁছে দিয়েছি।" তাঁর কথায়, "ন্দীগ্রামে আমি কেন দাঁড়ালাম? ভবানীপুর থেকেও তো দাঁড়াতে পারতাম। শেষবার যখন এসেছিলাম সেদিন কথা দিয়েছিলাম। আপনাদের উদ্দীপনা দেখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। সিঙ্গুর না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের তুফান আসত না। মাথায় ছিল হয় সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াব। ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল। অসুস্থ ছিলাম, হাসপাতাল থেকে চলে এসেছিলাম। কোলাঘাটে আমার গাড়ির উপর হামলা, সেদিন কেউ ছিল না।"
তিনি জানান, "রাজ্যপাল ফোন করে বললেন, আপনাকে পেট্রোল বোমা মারার চক্রান্ত চলছে। আনিসুরের বাইকে লুকিয়ে তমলুক হাসপাতালে যাই। আনিসুর জেলে আছে, কে জেলে ভরেছে, নাম বলব না। সিপিএম ভাবতে পারেনি, আমি স্কুটারে করে পৌঁছে যাব। তারপর চণ্ডীপুর হয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলাম, শুরু হয়েছিল অকথ্য অত্যাচার। ১০ নভেম্বর সূর্যোদয়ের নামে ১০ জনের দেহ লোপাট করা হল। ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া, একই অত্যাচার হয়েছে। সেদিনও আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আজও আছি।" নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আগামীদিনে নন্দীগ্রামকে মডেল করে দেব। নানারকম চক্রান্ত চলবে, চক্রান্তে পা দেবেন না। দু’কামরার বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। আমি নিজে পরে একটা কুঁড়েঘর বানাব নন্দীগ্রামে। মনে রাখবেন, কথা দিলে কথা রাখি আমি। আগামী এক বছরে ২ মাস অন্তর নন্দীগ্রাম আসব। আমি ভাঁওতা দিয়ে, পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে রাজনীতি করি।"