Sandip Roy Interview: ছেলে সন্দীপের তৈরি 'গুপি বাঘা ফিরে এল' দেখে কী বলেছিলেন সত্যজিৎ?
'ফটিকচাঁদের ফার্স্ট কাট দেখে বাবা বললেন, আমার চিত্রনাট্য অনুযায়ী এই ছবি তো পৌনে ২ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। তোমার ছবি ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট হয়ে গিয়েছে। এর থেকে বেশি আমি আর কিছু বলব না। তোমার ছবি, তুমি সামলাও। তারপর ছবিটা আরও ছোট করলাম। শেষ করে দেখলাম বিস্ময়কর ব্যপার। সত্যি সেটা পৌনে ২ ঘণ্টা হয়েছে।' বক্তা, সন্দীপ রায়। প্রথম ছবি বানানোর অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে বাবা সত্যজিৎ রায়ের থেকে পাওয়া প্রশংসা, এখনও তরতাজা পরিচালকের মনে। ফটিকচাঁদ ছবি দিয়েই তাঁর পরিচালনায় হাতেখড়ি। তবে বাবার থেকে সেরা প্রশংসা এনে দিয়েছিল 'গুপি বাঘা ফিরে এল' ছবিটি। ফার্স্ট কাট দেখানোর সময় মাঝখানে একটা বিরতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সন্দীপ রায়। হঠাৎ ছবি থেমে যাওয়ায় সত্যজিৎ রায় বলে ওঠেন, 'কী হল, ছবি থামল কেন?' তারপর বিরতি দিতে বাধা দিয়ে ফের চালাতে বলেন ছবি। এক নিশ্বাসে দেখে শেষ করেন 'গুপি বাঘা ফিরে এল'। সন্দীপ রায়ের কথায়, 'ছবিটা দেখা শেষ করে বললেন, ছবির লেঙ্কথ দাও, মিউজিক করব। কিচ্ছু আর বললেন না। কিছু না বলাটাই আমার কাছে বড় রকমের প্রশংসা। কিছু যখন বললেন না, তাহলে হয়ত ছবিটা উতরেছে। এতদিন বাবার সঙ্গে কাজ করেছি, উনি কখনও মুখ ফুটে কিছু বলেননি। কিছু না বলা মানেই ধরে নাও এটা প্রশংসা। অনেক কথা তো না বলা থেকে যায়।' গুপি গায়েন, বাঘা বায়েন, সোনার কেল্লার মত ছবি তৈরির সময় তিনিই ছিলেন কিংবদন্তি পরিচালকের ছায়াসঙ্গী। সাদাকালো সেইসব ছবির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কত রঙিন গল্প। সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীর ১০০ বছর পূর্তিতে মানিকের চোখে বাবু।