Subrata Mukherjee: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শোকযাত্রায় মিলে মিশে গেল সব রাজনীতির রং, গান স্যালুটে বিদায় | Bangla News
অবিভক্ত বর্ধমানের নাদনঘাট থেকে যাত্রা শুরু, অবশেষে সেই পথ চলা শেষ হল। চিরবিদায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়। যাওয়ার আগে ছুয়ে গেলেন প্রিয় সব কিছু। সেই বিধানসভা, বালিগঞ্জের ফ্ল্যাট, একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব, যার আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অজস্র স্মৃতি। বৃহস্পতিবার রাতেই এসএসকেএম থেকে প্রয়াত রাজনীতিবিদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পিস ওয়ার্ল্ডে।
শুক্রবার সকাল ৯.৪৬ মিনিটে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখানে একে একে এসে পৌঁছন তাঁর গুণমুগ্ধ, অনুরাগীরা। ব্যক্তিজীবনে সব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এলেন সকলে। তাঁর শোকযাত্রায় মিলে মিশে গেল সব রাজনীতির রং!
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্টরা।
দুপুর ১.৫৬ মিনিটে রবীন্দ্র সদন থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। ১৯৭১ সালে প্রথমবার মাত্র ২৫ বছর বয়সে সে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সেই বিধানসভার পোর্টিকোতে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন শাসক-বিরোধী সব দলের নেতা-বিধায়করা।
দুপুর আড়াইটের সময় প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। এরপর গন্তব্য একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রাণ-প্রিয় ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপেই রাখা হয় তাঁর মরদেহ। কাতারে কাতারে মানুষ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বিকেল ৩.৩৫ নাগাদ একডালিয়া থেকে শোক মিছিল এগোয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানের দিকে। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, মদন মিত্র থেকে সুজিত বসু-সহ আরও অনেকে।
বিকেল ৪.২০ মিনিটে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছয় প্রয়াত রাজনীতিবিদের মরদেহ। মিনিট দশেক পরে সেখানে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ শ্রদ্ধা জানান। ৪.৩৭ মিনিট নাগাদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সম্মানে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া। মুখাগ্নি করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভাগ্নে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় বাংলার এক প্রবাদপ্রতিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শরীর।