এক্সপ্লোর
Advertisement
Supreme Court কি Rabindra Sarobar-এ Chhath Puja-র অনুমতি দেবে? বৃহস্পতিবার শুনানি
জাতীয় পরিবেশ আদালত ও কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে. এ বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না। কিন্তু, আদালতের এই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, পরিবেশের তোয়াক্কা না করে রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। করোনা সঙ্কটের জেরে যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশে দর্শনার্থী শূন্য মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয়েছে, যেখানে কালীপুজোয় বাজি ফাটানো কিংবা পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত, সেখানে মহামারীর মধ্যেই শিলিগুড়িতে মহানন্দার পাড় বরাবর সর্বত্র ছট পুজোর দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপির দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত। আর এসবের মধ্যেই সবার নজর এখন কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরের দিকে! কারণ, জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, গত দু’বছর ধরে এই জাতীয় সরোবরে ছট পুজো করা হয়েছে, দূষিত হয়েছে পরিবেশ, পুলিশের চোখের সামনে সব হয়েছে, কিন্তু, কেউ আটকায়নি! এবারও পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করা যাবে না! কিন্তু, তা সত্ত্বেও কিছু লোক এখনও সেই পুরনো-আজব, পরিবেশবিরোধী দাবিতে সরব! এরইমধ্যে রবীন্দ্র সরোবরের কিছু অংশ টিন ও বাঁশ দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেছে কেএমডিএ। রবীন্দ্র সরোবরের টালিগঞ্জ স্টেশন ও লেক গার্ডেন্স উড়ালপুল লাগোয়া কিছু অংশ ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। একদিকে যেমন এই ছবি দেখা যাচ্ছে, তেমনই এটাও সত্যি, এবারও রাজ্য সরকার এবং কেএমডিএ রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোর অনুমতি আদায় করতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিহারী সমাজের তরফে অবশ্য, রবীন্দ্র সরোবরে পরিবেশ রক্ষার জন্য পোস্টার দেওয়া হয়েছে- এ বছর ছট পুজো বাড়ির ভিতরে। প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতা পুরসভার তরফেও বিভিন্ন জায়গায় ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ছট পুজোর জন্য কলকাতায় ৪৪টি ঘাট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে ১৬টি কৃত্রিম জলাশয়। কিন্তু, নানামহলে প্রশ্ন হল, এত জায়গা থাকা সত্ত্বেও, কিছু কিছু মানুষ কিংবা রাজ্য সরকার পরিবেশ বিধি ভেঙে সেই রবীন্দ্র সরোবরেই কেন ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে? এদিকে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ছট পুজোর জন্য মহানন্দার পাড়ে কয়েকটি জায়গা ঘিরে নির্দিষ্টি করে দিয়েছিল। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘেরা চলবে না। সব জায়গায় ছট পুজো করতে দিতে হবে। আর এই আজব দাবিকে সমর্থন করেছেন খোদ দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শেষ মুহূর্তে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতে পূর্ণার্থীদের মধ্যে সংশয় ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি পুরসভার কাছে আবেদন, বিভিন্ন জায়গায় ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হোক। মহামারী কিংবা পরিবেশের চেয়ে কি ছট পুজো ঘিরে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বেশি জরুরি? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও দেখুন
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার খবর
পুজো পরব
ক্রিকেট
জেলার খবর
Advertisement
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement