(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Mamata Banerjee: পরিকল্পনা করেই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বিজেপি নেতাদের, অপমানের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘সংবাদ মাধ্যমে অসত্য খবর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। আমার কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষিত হয়। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কর্মসূচি কাটছাঁট করতে হয়। এটিসি থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামবে। আমাদের হেলিকপ্টার প্রায় ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটে। প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাই। এসপিজি জবাব দেয়, একঘণ্টা পর বলুন, এখন কিছু হবে না। তারপর দীর্ঘক্ষণ আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। আগে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। পরে দেখা গেল রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা সবাই আছেন। দেখা গেল বিজেপির সবাই রয়েছে, আমি একা। আমি মুখ্যসচিবকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষতির খতিয়ান তুলে দিই। আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে আসি। তাহলে আমার দোষ কোথায়? প্রধানমন্ত্রী সংসদে কেন বিরোধীদের বলতে দেন না। ২ সপ্তাহ আগে গুজরাতে কেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী নেতা ছিলেন না? অথচ ওড়িশার দুর্যোগ বৈঠকে কেন ছিলেন বিরোধী দলনেতা? ৩ বার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি দিঘায় যাই। গতকাল পরিকল্পনা করে কয়েকটা ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়, যাতে আমি না বসি। যাঁদের বৈঠকে আসার কথা নয়, তাঁরা কেন ছিলেন? প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেও ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। প্রত্যেক বৈঠকে হাজির থেকেছি। বৈঠকের পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই কি মুখ্যসচিবের বদলি-নির্দেশ? বাংলায় হার হজম করতে পারেননি বলেই লাগাতার প্রতিহিংসা। নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও একইরকম পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। বাংলার স্বার্থে আমি সবকিছু করতে পারি। মুখ্যসচিবের ভুলটা কী হয়েছে? রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কীভাবে বদলির নির্দেশ দিল কেন্দ্র? ৩১ মে মুখ্যসচিবের অবসরের কথা ছিল। করোনার কারণে আমরা তাঁর ৩ মাসের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুরোধ জানাই। কেন্দ্র আমাদের অনুরোধ মেনে মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়। অসাংবিধানিকভাবে মুখ্যসচিবকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলার মানুষের রায় মেনে নিন, অপমান করবেন না। আমাকে একতরফাভাবে অসম্মান করা হয়েছে। আমার উপর রাগ থাকলে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে পারি। বাংলার মানুষের জন্য আমি তাও করতে পারি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করুন। অনুরোধ করছি, এই চিঠি প্রত্যাহার করুন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি বলে এত রাগ কেন? রাজ্যকে কাজ করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। বিজেপি যা বলছে, কেন্দ্র তাই করছে। সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছি। মুখ্যসচিবদের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না।’