'ভারত যুদ্ধ নয়, বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, সন্ত্রাস রুখতে বিশ্বকে একজোট হতে হবে,' রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
LIVE
Background
নিউইয়র্ক: আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৪তম সাধারণ সভায় বক্তব্য পেশ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, মোদির বক্তব্যের মূল নির্যাস হবে শান্তি, উন্নয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস-দমন। সেখানে ইমরানের বক্তব্য কাশ্মীর ইস্যু নিয়েই ঘোরাফেরা করবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সূত্রের খবর, (ভারতীয় সময় ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সভা শুরু হবে। বক্তাদের তালিকায় মোদির নাম চার নম্বরে আছে। তিনি সম্ভবত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা (ভারতীয় সময়) -তে বক্তব্য পেশ করবেন। মোদির আগে মরিশাস, ইন্দোনেশিয়া ও লেসোথোর রাষ্ট্রনায়করা বক্তব্য রাখবেন। অন্যদিকে, তালিকায় ইমরানের নাম রয়েছে সাত নম্বরে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জের ভবনের সামনে ভারত-বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে চলেছে পাকিস্তান।
All set for the @UN General Assembly session!
The speech of PM @narendramodi begins shortly. Do watch it LIVE. pic.twitter.com/63fWbgG0b7
— PMO India (@PMOIndia) September 27, 2019
দুদিন আগেই, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ‘শীতল’ প্রতিক্রিয়ায় তিনি আশাহত হয়েছেন। তিনি এ-ও স্বীকার করেন, কাশ্মীরকে আন্তর্জাতিক ইস্যু করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন জিততে ব্যর্থ হয়েছেন ইমরান। আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন মঞ্চ থেকে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ইমরানের দাবি বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
ভারত প্রত্যেক মঞ্চে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর হল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক বা রাষ্ট্রপুঞ্জ-- কারও কোনও মধ্যস্থতার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, কোনও তৃতীয় পক্ষের এখানে হস্তক্ষেপ করার এক্তিয়ার নেই। ইমরান জানান, আন্তর্জাতিক মহলের ওপর তিনি হতাশ। কারণ, তারা ভারতের ওপর কোনওপ্রকার চাপসৃষ্টি করেনি। যদিও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান চাপসৃষ্টি করা চালিয়ে যাবে।
এদিকে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশে অসন্তোষের পারদ চড়তে শুরু করেছে। প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র দাবি, দেশের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন ইমরান। কারণ, বিদেশে তাঁর করা মন্তব্যের ফলে দেশের ক্ষতি হয়েছে। ফলে, তাঁর আন্তর্জাতিক সফর বন্ধ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করে কেন্দ্র। নয়াদিল্লির ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় হাই-কমিশনারকে বরখাস্ত করে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ।