Pitru Paksha 2021:আজ থেকে শুরু পিতৃপক্ষ, এই তিথির গুরুত্ব ও নিয়ম
পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষের স্মরণ করা হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়।
কলকাতা: পঞ্জিকা অনুসারে ২০২১-এর ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে ভাদ্র মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষের। হিন্দু ধর্মে এই পিতৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষের স্মরণ করা হয় এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, পিতৃপুরুষ প্রসন্ন হলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয়ে সুখ-শান্তি ও সম্বৃদ্ধি লাভ করা যায়।
১৫ দিন পর মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষের। পিতৃপক্ষের শেষে মহালয়ায় পিতৃতর্পণ করা হয়। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, মহালয়া দিয়েই মা উমার মর্ত্যে আগমন অর্থাৎ দুর্গাপুজোর আয়োজনের চূড়ান্ত দিনগণনা শুরু হয়ে যায়।
পিতৃপক্ষের গুরুত্ব
ধর্মীয় বিধান অনুসারে, পিতৃপক্ষে প্রয়াত পিতৃপুরুষদের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের পরম্পরা রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে, শ্রাদ্ধের অর্থ শ্রদ্ধা নিবেদন। আজ থেকে শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষের। এই পিতৃপক্ষের অবসান হবে আগামী ৬ অক্টোবর, বুধবার আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে। ওই দিনকে আশ্বিন অমাবস্যা, বড়মাবস্যা ও দর্শ অমাবস্য বলা হয়ে থাকে। এ বছর ২৬ সেপ্টেম্বর শ্রাদ্ধের তিথি নেই।
পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধের তিথি
২০ সেপ্টেম্বর, সোমবার-পূর্ণিমা শ্রাদ্ধ
২১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার-প্রতিপদ শ্রাদ্ধ
২২ সেপ্টেম্বর, বুধবার-দ্বিতীয় শ্রাদ্ধ
২৩ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার-তৃতীয়া শ্রাদ্ধ
২৪ সেপ্টেম্বর-শুক্রবার-চতুর্থী শ্রাদ্ধ
২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার-পঞ্চমী শ্রাদ্ধ
২৭ সেপ্টেম্বর, সোমবার-ষষ্ঠী শ্রাদ্ধ
২৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার-সপ্তমী শ্রাদ্ধ
২৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার-অষ্টমী শ্রাদ্ধ
৩০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার- নবমী শ্রাদ্ধ
১ অক্টোবর, শুক্রবার-দশমী শ্রাদ্ধ
২ অক্টোবর-শনিবার-একাদশী শ্রাদ্ধ
৩ অক্টোবর, রবিবার-দ্বাদশী, সন্ন্যাসীদের শ্রাদ্ধ, মঘা শ্রাদ্ধ
৪ অক্টোবর, সোমবার-ত্রয়োদশী শ্রাদ্ধ
৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার-চতুর্দশী শ্রাদ্ধ
৬ অক্টোবর, বুধবার-অমাবস্যা শ্রাদ্ধ
পিতৃপক্ষে লোহার বাসনের ব্যবহার বর্জিত বলে মনে করা হয়। পিতৃপক্ষে ক্রোধ, অহংকার ত্যাগ করতে হয়। যে কোনও প্রকার খারাপ অভ্যেস থেকে বিরত থাকতে হবে। পিতৃপক্ষে দানের গুরুত্ব অপরিসীম। পশুপাখিদের ভোজন করাতে হয়। এই পর্বে কাউকে অপমান করা উচিত নয়। পিতৃপুরুষের কার্যাবলী স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয়।