PM E-Drive: আরও ২ বছর ১০,৯০০ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র, গাড়িপ্রেমীদের জন্য বড় খবর; কারা পাবেন সুবিধে ?
Electric Vehicle Subsidy Scheme: বৈদ্যুতিন যানবাহন কিনবেন এমন গ্রাহকরা সরাসরি এই স্কিমের সুবিধে পাবেন। এটি কেবল যানবাহন ক্রয়ের উপরেই ভর্তুকি দেয় না, পাবলিক চার্জিং স্টেশন, টেস্টিং সুবিধে দিয়ে থাকে।

ভারত সরকার বৈদ্যুতিন যানবাহন কেনা আরও সহজতর ও সাশ্রয়ী করার জন্য পিএম ই-ড্রাইভ প্রকল্পের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জানানো হয়েছে এই স্কিমের সময়সীমা আগামী আরও ২ বছর অর্থাৎ ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। শুধু তাই নয়, ভারী শিল্পমন্ত্রকের তরফে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে শুরু করা হয় এই প্রকল্পটি যার ব্যয় হয় ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পের সময়সীমা ধার্য করা ছিল, কিন্তু এখন এই প্রকল্প ২০২৮ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিন যানবাহন কিনবেন এমন গ্রাহকরা সরাসরি এই স্কিমের সুবিধে পাবেন। এটি কেবল যানবাহন ক্রয়ের উপরেই ভর্তুকি দেয় না, বরং পাবলিক চার্জিং স্টেশন, টেস্টিং সুবিধে এবং স্থানীয়ভাবে ইভি প্রযুক্তির উৎপাদনকেও সমর্থন করে।
পিএম ই-ড্রাইভ স্কিম কী
পিএম ই-ড্রাইভ স্কিম হল ভারত সরকারের একটি স্কিম যার মূল লক্ষ্য হল বৈদ্যুতিন যানবাহন কেনা সহজতর করা। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রাহকদের ভর্তুকির পাশাপাশি পাবলিক চার্জিং স্টেশন, টেস্টিং সুবিধে এবং বৈদ্যুতিন যানবাহন প্রযুক্তির স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করা হয়। এই প্রকল্পের বাজেট ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এবং ইএমপিএস ২০২৪ প্রকল্পটিও এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে।
কতগুলি যানবাহন এর সুবিধে পাবে ?
সরকার ৪০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার ৯টি বড় শহরে ২৪.৮ লক্ষ বৈদ্যুতিন টু-হুইলার, ৩.২ লক্ষ বৈদ্যুতিম থ্রি-হুইলার আর ১৪ হাজারেরও বেশি বাসে ভর্তুকি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর পাশাপাশি বৈদ্যুতিন ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সের জন্যও ৫০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নতুন ভর্তুকির সময়সীমা
নতুন ভর্তুকির সময়সীমা অনুসারে, বৈদ্যুতিন দুই চাকা ও তিন চাকার যানবাহনের জন্য এই সুবিধে ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। যেখানে বৈদ্যুতিন বাস, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ভর্তুকি পাওয়া যাবে ২০২৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। দুই চাকার এবং তিন চাকার গাড়ির ক্রেতারা ২০২৫ অর্থবর্ষে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ৫০০০ টাকা এবং ২০২৬ অর্থবর্ষে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় ২৫০০ টাকা ভর্তুকি পাবেন, তবে এটি গাড়ির এক্স শোরুম মূল্যের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হবে। উদাহরণস্বরূপ যদি একটি বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি ১ কিলোওয়াট আওয়ার হয়, তাহলে এই বছর ৫০০০ টাকা এবং পরের বছর ২৫০০ টাকা ভর্তুকি পাওয়া যাবে।
চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচারেও বিনিয়োগ
এই প্রকল্পের আওতায় চার্জিং ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সরকার চার চাকার বৈদ্যুতিন যানবাহনের জন্য ২২ হাজার পাবলিক চার্জার এবং বৈদ্যুতিন বাসের জন্য ১৮০০ চার্জার স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।






















