Traffic Challan: ১২ হাজার কোটির ট্রাফিক চালান কাটা হয়েছে এক বছরেই ! জরিমানা থেকেই কত আয় সরকারের ?
Traffic Challan: ২০২৪ সালে ৮ কোটিরও বেশি চালান কাটা হয়েছে, দেখা গিয়েছে প্রতি ২ জন গাড়িচালকের একজনের নামেই চালান কাটা হয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেল তথ্য।

Traffic Fines: ভারতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অপরাধে যে কোনও গাড়ি-বাইক চালককে জরিমানা করা হয়। নানা কারণে এই জরিমানা (Traffic Rules Violation) করা হয়ে থাকে, আর এই জরিমানার জন্য কাটা হয় ট্রাফিক চালান। সেই চালানের টাকা অনলাইনে জমা করতে হয় চালকদের। চালান অযথা কাটা হয়ে থাকলে তার সমাধান পাওয়া যায় লোক আদালতে আবেদনের মাধ্যমে। আর এভাবেই একটি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে (Traffic Challan) জানা গিয়েছে গত এক বছরে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভারতে মোট ১২ হাজার কোটি টাকার চালান কাটা হয়েছে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অপরাধে। ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির প্ল্যাটফর্ম 'কারস২৪' এই সমীক্ষা চালিয়েছে। এমনকী জানা গিয়েছে এখনও ৯ হাজার কোটি টাকার চালান জমাই হয়নি সরকারের কোষাগারে।
২০২৪ সালে ৮ কোটিরও বেশি চালান কাটা হয়েছে, দেখা গিয়েছে প্রতি ২ জন গাড়িচালকের একজনের নামেই চালান কাটা হয়েছে। ওভারলোডেড ট্রাক থেকে শুরু করে হেলমেটবিহীন চালক, এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে অধিকসংখ্যক মানুষ ট্রাফিক আইনের (Traffic Rules Violation) প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন। এই ট্রাফিক আইন ভঙ্গের মাত্রাও ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'হরিয়ানার এক ট্রাক মালিকের নামে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল কারণ তিনি তাঁর ট্রাকে ১৮ টনেরও বেশি মাল নিয়ে যাতায়াত করছিলেন। বেঙ্গালুরুর এক টু-হুইলার চালকের এক বছরে ৪৭৫ বার ট্রাফিক আইন ভঙ্গের (Traffic Challan) কারণে মোট ২.৯১ লক্ষ টাকা জরিমানা কাটা হয়েছে।
এমনকী এই রিপোর্টে জানা গিয়েছে গুরগাঁওতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের কারণে দিনে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা কাটা হয়। দিনে ৪৫০০টি করে ট্রাফিক চালান কাটা হয়। নয়ডায় এক মাসে শুধু হেলমেট না পড়ার অপরাধে ৩ লক্ষ চালান (Traffic Rules Violation) কাটা হয়েছে। এই রিপোর্টের তথ্য অনুসারে সমগ্র চালানের মধ্যে ৫০ শতাংশ জরিমানা হয়েছে ওভারস্পিডিংয়ের কারণে। এরপরেই রয়েছে হেলমেট না পড়া, সিটবেল্ট না বাঁধা, ভুল পার্কিং, সিগনাল ভাঙা ইত্যাদি অপরাধও। আর এত চালানের (Traffic Challan) মধ্যে এখনও ৭৫ শতাংশ চালান বকেয়া রয়েছে। এই চালান জমা না দেওয়ার কারণে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হতে পারে, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাতিল হতে পারে এবং বিমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে।






















