গ্লাসে জল ভরে সিলিন্ডারের উপর থেকে নিচে ঢালুন। সিলিন্ডারের যে অংশ ঠান্ডা লাগবে সেখানে গ্যাস আছে। ঠান্ডা অংশ কম হলে গ্যাস ফুরিয়ে আসছে।
Gas Cylinder Tips: সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস আছে, কীভাবে বুঝবেন ? এই সহজ কৌশলে জানুন
LPG Using Tips : সেই ক্ষেত্রে কীভাবে বুঝবেন কত গ্যাস রয়েছে সিলিন্ডারে। এখানে জেনে নিন।

LPG Using Tips : নতুন যুগে বদলে গেছে রান্নাঘরের চিত্র। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রান্নার জন্য এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (Gas Cylinder Using Tips) ব্যবহার করি আমার। তবে রান্নার সময় অনেকবারই এই গ্যাস ফুরিয়ে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় গৃহস্থকে। সেই ক্ষেত্রে কীভাবে বুঝবেন কত গ্যাস রয়েছে সিলিন্ডারে। এখানে জেনে নিন।
সিলিন্ডারে সমস্যা না বার্নারে
প্রায়শই এমন ঘটে, যেখানে রান্না করার সময় হঠাৎ গ্যাস ফুরিয়ে যায়। আমরা জানি না যে এটি সিলিন্ডার খালি থাকার কারণে নাকি বার্নারে কোনও সমস্যার কারণে হয়। এর ফলে রান্নার মাঝে অস্বস্তি বাড়তে পারে। আপনার সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস অবশিষ্ট আছে তা আগে থেকে জেনে থাকলে, আপনি সহজেই এই ঝামেলা এড়াতে পারবেন। কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যা আপনাকে মেশিন ছাড়াই কতটা গ্যাস অবশিষ্ট আছে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন একটি কৌশল যা সকলের জন্য কার্যকর হতে পারে।
জল পদ্ধতি সবচেয়ে সহজ
সিলিন্ডারে গ্যাসের স্তর পরীক্ষা করার সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হল জল। কেবল একটি গ্লাস বা মগে জল ভরে নিন। সিলিন্ডারের উপর থেকে নীচে ধীরে ধীরে এই জল ঢেলে দিন। তারপর, আপনার হাত দিয়ে সিলিন্ডারটি উপর থেকে নীচে স্পর্শ করুন। যেখানে সিলিন্ডারটি ঠান্ডা বোধ করবেন, সেখানেই গ্যাস রয়েছে। সিলিন্ডারের তলায় গরম অনুভূত হবে।
কেন এই গরম বা ঠান্ডা অনুভূত হয়
কারণ সেখানে কোনও গ্যাস নেই। গ্যাস-ভরা জায়গাটি আসলে ঠান্ডা, কারণ এলপিজি তরল আকারে থাকে ও এর বাষ্পীভবন শীতলতা তৈরি করে। এই কৌশলটি সবচেয়ে সহজ এবং তাৎক্ষণিক ফলাফল দেয়। যদি সবচেয়ে ঠান্ডা অংশটি খুব কম হয়, তাহলে সিলিন্ডারটি খালি হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে, গ্যাস শেষ না হওয়ার জন্য আগে থেকেই একটি নতুন সিলিন্ডার বুক করা ভাল।
আপনি ওজন দিয়েও বিষয়টি বুঝতে পারেন
আপনার গ্যাস সিলিন্ডারে কতটা গ্যাস অবশিষ্ট আছে ? আপনি যদি আরও সঠিক অনুমান চান, তাহলে একটি ওজন পদ্ধতি ব্যবহার করুন। প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডারের উপরে খালি ওজন লেখা থাকে, যেমন 15.3 বা 15.5 কিলোগ্রাম। যদি আপনার বাড়িতে ওজন করার যন্ত্র থাকে, তাহলে আপনি একটি ওজন করার যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
তাহলে, সিলিন্ডারটি কাউন্টারে রাখুন এবং এর মোট ওজন পরিমাপ করুন। মোট ওজন থেকে খালি ওজন বিয়োগ করুন। এটি আপনাকে সিলিন্ডারে অবশিষ্ট গ্যাসের প্রকৃত ওজন দেবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি মোট ওজন ২৮.৫ কেজি হয় এবং খালি ওজন ১৫.৫ কেজি হয়, তাহলে আপনার সিলিন্ডারে প্রায় ১৩ কেজি গ্যাস অবশিষ্ট থাকবে।
Frequently Asked Questions
সিলিন্ডারে কত গ্যাস আছে তা কিভাবে বুঝব?
জল দিয়ে গ্যাস পরীক্ষা করার কারণ কী?
এলপিজি তরল অবস্থায় থাকে এবং বাষ্পীভবন শীতলতা তৈরি করে। তাই যেখানে গ্যাস থাকে সেই অংশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।
ওজন দিয়ে গ্যাস আছে কিনা তা বোঝার উপায় কী?
সিলিন্ডারের গায়ে লেখা খালি ওজন জেনে নিন। বাড়ির ওজন যন্ত্রে সিলিন্ডারের মোট ওজন মাপুন। মোট ওজন থেকে খালি ওজন বিয়োগ করলে গ্যাসের ওজন জানা যাবে।






















