Lakshmir Bhandar Scheme: মাসে মাসে নিশ্চিত ১০০০ টাকা আয়! কী করতে হবে আপনাকে?
How to apply for Lakshmir Bhandar Scheme: সামান্য কিছু নথি প্রয়োজন। আর কিছু শর্তপূরণ করতে হবে, তাহলেই প্রতি মাসে নিশ্চিত রোজগার।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (How to apply for Lakshmir Bhandar scheme)। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি শুরু করা হয়েছিল। মূলত প্রান্তিক, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং নিজস্ব রোজগার নেই এমন মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পরে বাড়ানো হয় মাসিক ভাতার পরিমাণ। এই প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন? সুবিধা পেতে গেলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে? কী কী নথি রাখতে হবে সঙ্গে। রইল সবই।
ভাতার পরিমাণ:
১. এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি পরিবারের মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পাবেন। (Lakshmir Bhandar amount)
২. তফসিলি জাতি এবং তফসিলি জনজাতি ছাড়া বাকি সব পরিবারের মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন।
কী কী শর্তপূরণ?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অধীনে আসতে গেলে একাধিক শর্ত মানতে হবে আবেদনকারীকে
১. পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
২. শুধুমাত্র মহিলারা আবেদন করতে পারবেন।
৩. ২৫ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত নারীরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. যিনি আবেদন করছেন সেই পরিবারকে অবশ্যই 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্পে নাম থাকতে হবে।
৫. যিনি আবেদনকারী তিনি সরকারি চাকরিজীবী, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, স্ট্যাটুটারি বডি, সরকার অধিগৃহীত কোনও সংস্থা, পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলে অর্থাৎ যাঁরা এসবের বেতনভোগী বা পেনশনভোগী তাঁদের আবেদন গ্রাহ্য হবে না।
কীভাবে আবেদন করবেন?
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বিনামূল্যে এই প্রকল্পের আবেদনপত্র পাওয়া যায়। ঠিকমতো তথ্য দিয়ে ফর্ম ভরে, সই করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই জমা করে দেওয়া যাবে।
ফর্ম ঠিকমতো ভরতে হবে, তার সঙ্গেই প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিতে হবে। এর যাচাইপ্রক্রিয়া হবে। গ্রামীণ এলাকায় বিডিও এবং শহর এলাকায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার এই আবেদন পোর্টালে দেবেন, যাচাই করবেন এবং যাঁরা যোগ্য তাঁদের আবেদন জেলাশাসকের কাছে অনুমতির জন্য পাঠাবেন। এবার সেই তালিকায় সিলমোহর দেন জেলাশাসক। কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটিই করে থাকেন কলকাতা কর্পোরেশনের কমিশনার।
এবার এই প্রকল্পের টাকা DBT বা সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে প্রাপকরা পেয়ে থাকেন। প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আধারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। ওই অ্য়াকাউন্টের একমাত্র মালিক প্রাপককেই হতে হবে। বছর বছর প্রাপকের Life Status- বা তিনি বেঁচে রয়েছেন কি না তা দেখা হয়।
কী কী নথি প্রয়োজন? (Lakshmir Bhandar Document)
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র (প্রয়োজন হলে)
এছাড়া ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি- যেখানে ব্যাঙ্কের এমন নথি যেখানে নাম, ঠিকানা, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের শাখার ঠিকানা, IFSC কোড, MICR নম্বর রয়েছে সেই কাগজটির স্বপ্রত্যয়িত ফটোকপি
আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট মাপের ছবি। এর সঙ্গে একটি দাবিপত্র বা Self Declaration
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরকারের বিষ-নজরে! ২০ বছরের কারাদণ্ড শিক্ষকের