Air India: এয়ার ইন্ডিয়ার স্টাফ কোয়ার্টার খালি করতে নির্দেশ, ২ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি কর্মীদের
এবার নয়া সমস্যার মুখে এয়ার ইন্ডিয়া। মুম্বইয়ের কালিনায় এয়ার ইন্ডিয়ার সে স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে তা খালি করতে বলা হয় কর্মীদের।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। সরকারি সূত্রে খবর মেলে, এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেতে বিডে সর্বোচ্চ দর দিয়েছে টাটারাই। কিন্তু এবার নয়া সমস্যার মুখে এয়ার ইন্ডিয়া। মুম্বইয়ের কালিনায় এয়ার ইন্ডিয়ার সে স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে তা খালি করতে বলা হয় কর্মীদের। এই নোটিস পাওয়ার পরই ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার গ্রাউন্ড স্টাফ এবং ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অংশ চুক্তির লেনদেনের শেষ তারিখের ছয় মাসের মধ্যে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট খালি করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই হাঁটতে চলেছে। আর সেই কারণে ২ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা ৫ অক্টোবর এয়ারলাইনস থেকে একটি চিঠি পেয়েছিল, সেখানে তাদের বলা হয়েছিল ২০ অক্টোবরের মধ্যে একটি স্বাক্ষরিত সম্মতি চিঠি দিতে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এয়ারলাইনের বেসরকারিকরণের ছয় মাসের মধ্যে তাদের কোম্পানি-প্রদত্ত বাড়িগুলি খালি করবে এমনই চুক্তি হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া কর্মচারী ইউনিয়ন বলেছে যে যদি কর্মচারীরা তাদের বাড়ি খালি করতে বাধ্য হয়, তবে তারা ২ নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে কর্মচারী ইউনিয়নগুলি এ বিষয়ে বুধবার এয়ার ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার মীনাক্ষী কশ্যপকে একটি চিঠি দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশের পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সম্পূর্ণ মালিকানা বিক্রি করে দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
চলতি অর্থবর্ষেই মালিকানা বিক্রির কথা ছিল। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তারই ফলস্বরূপ দেশের ফ্ল্যাগশিপ কেরিয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার নিলামের পদ্ধতি শুরু হয়। সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় ফের যাত্রীসংখ্যা কমে যায় বিমানের। নতুন করে নানা দেশ থেকে ভারতের বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার জেরে মেইটেইন্যান্স কস্ট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে। যার ফলে নিলামে আরও কম বিডিং রাখা হয়।
বহুদিন ধরেই লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে যার-তার হাতে এই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সহমত ছিল না সরকার। তাই বিক্রির ক্ষেত্রেও তৈরি করা হয়েছিল বেশ কিছু মানদণ্ড। সে ক্ষেত্রে বিমান পরিষেবার সঙ্গে কোম্পানির সরাসরি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলিকে নিলামে অংশ নিতে কত বছর ও কোন কোন দেশে বিমান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারও উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছিল ।