Economic Survey: চাকরিতে মারাত্মক কোপ মারতে চলেছে AI-এর দ্রুত উত্থান ? কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য সরকারি ডকুমেন্টে
AI Cutting Number of Jobs : Labour in AI Era: Crisis or Catalyst? শীর্ষক শিরোনামে এর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে।

নয়াদিল্লি : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence-এর রমরমা বাড়ছে। প্রভূত উন্নতি হয়েছে এই সেক্টরে। AI-এর বাড়বাড়ন্তে কপালে চিন্তার ভাঁজও পুরু হচ্ছে অনেকের। কারণ, এর উন্নতিতে চাপ বাড়তে পারে শ্রম বাজারে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে সরকার। কারণ, AI-কে গ্রহণ করার মতো জমি এখনও প্রস্তুত নয়। ২০২৪-'২৫-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, AI-এর জেরে যে আর্থিক-সামাজিক পরিস্থিতি তৈরি হত্ চলেছে তা তার দিকে তাকিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। বাজেট পূর্ববর্তী ডকুমেন্টে AI-এর জেরে সম্ভাব্য ব্যাঘাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এর জেরে অর্থনৈতিক যে প্রভাব পড়বে তাও তুলে ধরা হয়েছে। Labour in AI Era: Crisis or Catalyst? শীর্ষক শিরোনামে এর প্রভাবের কথা বলা হয়েছে।
২০২৪-২০২৫ আর্থিক সমীক্ষায় যদিও বলা হয়েছে, AI-এর প্রভাব বিশ্বজুড়েই শ্রম বাজারে প্রভাব ফেলবে। ভারতের ক্ষেত্রে সমস্যাটি আরও বড়, কারণ এর আকার এবং তুলনামূলকভাবে কম মাথাপিছু আয়। ভারত সরকারের রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইন্টেলিজেন্স মেশিন মানুষের করা বিভিন্ন কাজ দক্ষতার সঙ্গে করবে। এমনকী এও তুলে ধরা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা, ফৌজদারি বিচার, শিক্ষা, ব্যবসা এবং আর্থিক পরিষেবাগুলির মতো জটিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেক্টরগুলিতে কীভাবে মানুষকেও ছাপিয়ে যাবে AI।
সরকার AI এর প্রতি এত মনোযোগ দেওয়ার কারণ রয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করবে। তাছাড়া এর জেরে বড়সড় আকার চাকরি ক্ষেত্রে যে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই বিষয়টিও রয়েছে। ভারতের মতো দেশের ক্ষেত্রে যেখানে বৃহৎ সংখ্যক মানুষ রয়েছে, সেখানে AI-এর উন্নতি বহু মানুষের চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন নিয়ে চিন্তা রয়েছে। এদিকে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, International Labour Organisation-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, AI-এর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্বজুড়ে ৭৫ লক্ষ মানুষের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে সারা বিশ্বে সাড়া ফেল দিয়েছে চিনের ডিপসিক এআই। চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিয়ে অনেক কম খরচে কৃত্রিম মেধার ব্যবহারের (DeepSeek AI) সুযোগ করে দেবে এই ডিপসিক। আর সম্প্রতি এই ডিপসিককে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মার্কিন মুলুকে। ধস নেমেছে মার্কিন শেয়ার বাজারে। বিশ্বের সবথেকে বড় চিপনির্মাতা সংস্থা এনভিডিয়ার শেয়ারে সবথেকে বড় পতন দেখা গিয়েছে। আর এই কৃত্রিম মেধার উপরে এখন সবথেকে বড় নজর রেখেছে ভারত। ডেটা সুরক্ষা এবং চিনের সঙ্গে এর সংযোগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই কৃত্রিম মেধাকে ঘিরে। ভারত সরকার এই প্ল্যাটফর্মের (DeepSeek AI) সম্ভাব্য ঝুঁকির দিকে নজর রাখছে। জাতীয় নিরাপত্তা এবং ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা যাতে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে না পরে সেই কারণে সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
