Car Crash Test : সুরক্ষায় শূন্য পেল Maruti Suzuki Swift,Latin NCAP ক্র্যাশ টেস্টে ফেল ডাস্টার
NCAP Crash Test: ভারতে ছাড়াও জাপানে তৈরি হয় মারুতি সুজুকি সুইফট। দুটো ভার্সনেই ডুয়েল এয়ারব্যাগ স্ট্যানডার্ড দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও সব ধরনের সুরক্ষায় বাজে ফল করেছে Maruti Suzuki Swift।
নয়াদিল্লি: গর্বের গাড়ি আজ হয়ে দাঁড়াল ক্রেতাদের চিন্তার কারণ। যাত্রী সুরক্ষার পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে Maruti Suzuki Swift। পিছিয়ে নেই ফ্রান্সের গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি রেনোঁ।Latin NCAP Crash Test-ফেল করেছে তাদের এসইউভি ডাস্টার।যার স্বাভাবিক প্রভাব পড়েছে ক্রেতাদের ওপর।
যাত্রী সুরক্ষায় ফেল মারুতি সুইফট (Maruti Suzuki Swift fails Latin NCAP Crash Test)
নতুন ভার্সন বাজারে আসার পর থেকেই মারুতি সুজুকি সুইফট নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না ক্রেতাদের মনে। ঝাঁ চকচকে ডিজাইন ল্যাঙ্গোয়েজের জেরে সবার আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে যায় এই হ্যাচব্যাক। টানা কয়েক বছর হ্যাচব্যাক সেগমেন্টে কোম্পানির সেরা বিক্রির তালিকায় ছিলSwift।তবে এবার NCAP Crash Test-এ শূন্য পেয়েছে এই গাড়ি।
একই অবস্থা হয়েছে রোনোঁর এসইউভি ডাস্টারের।Latin NCAP Crash Test-এ শূন্য স্কোর করেছে এই গাড়ি। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রামের পর এই স্কোরকার্ড পেয়েছে দুটি গাড়ি। স্বাভাবিকভাবেই দুই গাড়ির এই ফল হতাশ করেছে ক্রেতাদের।
কী বলছে ক্র্যাশ টেস্ট ? (NCAP Crash Test)
ভারতে ছাড়াও জাপানে তৈরি হয় মারুতি সুজুকি সুইফট। দুটো ভার্সনেই ডুয়েল এয়ারব্যাগ স্ট্যানডার্ড দেওয়া রয়েছে। তা সত্ত্বেও সব ধরনের সুরক্ষায় বাজে ফল করেছে Maruti Suzuki Swift। অ্যাডাল্ট অকুপেশন বক্সে ১৫.৫৩ নম্বর পেয়েছে গাড়ি। শূ্ন্য পেয়েছে চাইল্ড অকুপেন্ট বক্সে। পেডেস্টেরিয়ান প্রোটেকশন পেয়েছে ৬৬.৭ শতাংশ। Latin NCAP জানিয়েছে, কেবল সুইফট নয়, সুরক্ষায় একই অবস্থা এর সেডান ভার্সনের। হ্যাচব্যাকের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ 'সাইড ইমপ্যাক্ট প্রোটেকশন'। হেড প্রোটকশনের বিষয়ে খুবই খারাপ ফল দিয়েছে সুইফট। সুরক্ষা পরীক্ষক সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, দরজা খোলার স্টাইলের জন্য UN95-এর নিয়ম মানা হয়নি গাড়িতে। যা গাড়িকে আরও দুর্বল করেছে।
গ্লোবাল এনক্যাপে কী স্কোর ছিল সুইফটের ? (Global NCAP Swift Result)
তবে গ্লোবাল NCAP রেজাল্ট বলছে অন্য কথা। ২০১৮ সালে এই সুরক্ষা পরীক্ষক সংস্থার রেটিংয়ে ২স্টার পেয়েছিল Maruti Suzuki Swift। সেবারও ভারতের মডেলে ডুয়েল এয়ারব্যাগ স্ট্যানডার্ড হিসাবে দেওয়া ছিল গাড়িতে। তবে ইউরোপিয়ান মডেলে ৬টা এয়ারব্যাগ ছাড়াও সুরক্ষার জন্য Electronic Stability Control (ESC) দেওয়া হয়েছিল গাড়ির স্ট্যানডার্ড ভার্সনে। তবে ল্যাটিন আমেরিকায় সাইড বডি হেড এয়ারব্যাগ বা (ESC)সুরক্ষা দেওয়া হয়নি গাড়িতে। হতে পারে সেই কারণে শূন্য পেয়েছে গাড়ি। মনে রাখতে হবে, Latin NCAP আসলে Global NCAP-র দক্ষিণ আমেরিকার সহকারী সংস্থা।