(Source: ECI | ABP NEWS)
India-China Relations: ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল চিন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নালিশ, নতুন করে টানাপোড়েন শুরু!
China Files Complaints Against India: ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে (World Trade Organisation) অভিযোগ দায়ের করেছে চিন।

নয়াদিল্লি: শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে পুরনো তিক্ততা ঝেড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল চিন। বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারির উপর ভর্তুকি দিয়ে ভারত ‘অন্যায়’ করছে বলে দাবি করল তারা। ভারত এই অন্যায় করতে পারে না বলে দাবি তাদের। (India-China Relations)
ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে (World Trade Organisation) অভিযোগ দায়ের করেছে চিন। তাদের দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও ব্যাটারিতে ভর্তুকি দেওয়ার জন্য় প্রতিযোগিতার বাজারে ভারত 'অন্য়ায় সুবিধা পেয়ে যায়'। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ভারতের জন্য বেজিংয়ের ব্য়বসায়িক স্বার্থ আহত হচ্ছে। (China Files Complaints Against India)
ভারতের বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল একথার সত্যতা মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চিন ঠিক কী অভিযোগ করেছে, তা বিশদে খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশীয় শিল্পের স্বার্থকে মাথায় রেখে পদক্ষেপ করার অধিকার আছে ভারতের। দিল্লির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তুরস্ক, কানাডা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ দায়ের করেছে চিন।
দিল্লি সরকারের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আলোচনা চাওয়া হয়েছে।” World Trade Organisation-এর নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও অভিযোগ-অনুযোগের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপই হল আলোচনা। ভারতের সঙ্গে আলোচনা যদি সফল না হয়, সেক্ষেত্রে World Trade Organisation-এর কাছে পৃথক প্যানেল গঠনের আর্জি জানানো হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করবে।
বাজার গবেষণা সংস্থা Rho Motion জানিয়েছে, পৃথিবীতে যত বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়, তার দুই তৃতীয়াংশই চিনের, প্রায় ১৩ লক্ষ ইউনিট। এই মুহূর্তে ভারত ন্যাশনাল ক্রিটিক্যাল মিনারেল স্টকপাইল প্রকল্পের সূচনা করতে উদ্যোগী হয়েছে, যার আওতায় দেশে প্রাপ্ত বিরল খনিজ দেশের ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা লক্ষ্য়। সেই আবহেই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল চিন। ঘটনাচক্রে, চিনও নিজের দেশের বিরল খনিজ রফতানিতে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে, যা নিয়ে তাদের উপর চটেছে আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার চিনের উপর বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছে।
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য-সঙ্গী চিন। গত অর্থবর্ষে চিনে ভারতের রফতানি কমে হয় ১৪.৫ শতাংশ (১৪.২৫ বিলিয়ন), ২০২৩-’২৪ ওই পরিমাণ ছিল ১৬.৬৬ বিলিয়ন। সেই তুলনায় ২০২৪-’২৫ সালে চিন থেকে ভারতের আমদানি বেড়ে ১১.৫২ শতাংশ হয়, ১১৩.৪৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-’২৪ সালে চিন থেকে ভারত ১০১.৭৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ২০২৪-’২৫সালে হয়েছে ৯৯.২ বিলিয়ন ডলার।























