Crude Oil Price: জোগান রয়েছে, নেই চাহিদা, এশিয়া বাজারে তেলের দামে পতন, ১০০ ডলারেরও কম হল মূল্য
Oil Market: অর্থনীতির গতি যে ভাবে শ্লথ হয়ে এসেছে এবং শুল্কের হার যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে তেলের চাহিদা কমতে থাকবে বলে আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীরা তেল সংস্থা থেকে বিনিয়োগ তুলে নিতে শুরু করেছেন।
নয়াদিল্লি: জোগান রয়েছে, অথচ চাহিদা নেই সেই তুলনায়। তার জেরে এশিয়ার (Asian Trading) বাজারে ফের তেলের দামে পতন। বুধবার ব্য়ারেল প্রতি তেলের দাম ১০০ ডলারের (আমেরিকার) নীচে নেমে গেল। বিশ্ব অর্থনীতির (Global Economy) গতি যখন শ্লথ হয়ে পড়েছে, সেই সময় তেলের দামে (Crude Oil Price) লাগাতার এই পতনে উদ্বিগ্ন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
এশিয়া বাজারে তেলের দামে আরও পতন
এ দিন ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স-এর তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে কমে ৯৮.৮১ ডলার হয়, প্রায় ৬৮ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা যায়। আমেরিরকার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম আরও নেমে গিয়েছে। ব্য়ারেল প্রতি তাদের তেলের দাম এই মুহূর্তে ৯৫.১২ ডলারে রয়েছে, গত তিন মাসে যা সর্বনিম্ন (Oil Price)।
অর্থনীতির গতি যে ভাবে শ্লথ হয়ে এসেছে এবং শুল্কের হার যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে তেলের চাহিদাও কমতে থাকবে বলে আশঙ্কা করে ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীরা তেল সংস্থা থেকে বিনিয়োগ তুলে নিতে শুরু করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবারই একধাক্কায় তেলের দামে ৭ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Small Savings Schemes: ব্যাঙ্কের থেকে বেশি লাভ, এই সরকারি স্কিমে ২ লক্ষ টাকা হবে ২.৭৮ লক্ষ
নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিনের একাধিক শহরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যত লকডাউনের পথে হাঁটছে তারা। ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ হওয়ার পথে। তাতেই এশিয়ার বাজারে তেলের দামে পতন ঘটে চলেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
মজুতের তুলনায় চাহিদা নেই!
একই পরিস্থিতি পশ্চিমি বিশ্বেও। গোটা সপ্তাহ মিলিয়ে গত ৮ জুলাইয়ের হিসেব অনুযায়ী, আমেরিকায় ৪৮ লক্ষ তেলের ব্যারেল মজুত রয়েছে। গ্যাসোলিন মজুত রয়েছে ৩০ লক্ষ ব্যারেল। পরিশোধিত তেলের ব্যারেল মজুত রয়েছে ৩৩ লক্ষ ব্যারেল।