Ex-Showroom Price: গাড়ির এক্স শোরুম প্রাইসের সঙ্গে অন রোড মূল্যের পার্থক্য কী, কত বেশি পড়ে দাম ?
Car Price: গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রায়শই এই দুই দাম শুনে হকচকিয়ে যান অনেকে। প্রথমে এক্স শোরুম প্রাইস শুনে এগিয়ে এলেও অন রোড দাম শুনে পিছপা হতে পারেন ক্রেতারা।
Car Price: গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রায়শই এই দুই দাম শুনে হকচকিয়ে যান অনেকে। প্রথমে এক্স শোরুম প্রাইস শুনে এগিয়ে এলেও অন রোড দাম শুনে পিছপা হতে পারেন ক্রেতারা। কেন এই ঘটনা ঘটে,জেনে নিন এক্স-শোরুম ও অন-রোড মূল্যের তফাত।
Ex-Showroom Price: গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্য কত ?
যেকোনও গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্যকে কেবল গাড়ির মূল্য হিসাবে দেখা হয়। যেখানে অতিরিক্ত RTO, রোড ট্যাক্স ও বিমার মূল্য যোগ করা থাকে না গাড়ির সঙ্গে। যদিও রাস্তায় যেকোনও যানবাহন চালাতে হলে এই তিনটি টাকাই দিতে হয়।
মনে রাখবেন, এক্স-শোরুম মূল্যের মধ্যেও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এক্স-ফ্যাক্টরি ফি, জিএসটি ও গাড়ির ডিলারের লাভ কমিশন। এগুলি একসঙ্গে একটি গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্য নির্ধারণ করে।
Automobile News: গাড়ির অন-রোড মূল্য কত ?
শোরুম থেকে রাস্তায় গাড়ি আনতে হলে গ্রাহককে গাড়ির অন-রোড মূল্য শোধ করতে হয়। অন-রোড মূল্যের মধ্যে এক্স-শোরুম মূল্য, RTO রেজিস্ট্রেশন, রোড ট্যাক্স, বিমা ও অন্যান্য লজিস্টিক চার্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
লজিস্টিক চার্জের মধ্যে রয়েছে গাড়ির গুদাম থেকে শোরুমে পরিবহণের খরচ, নম্বর প্লেট চার্জ ও অন্যান্য অনেক খরচ।
Car Price: গাড়ির অন-রোড মূল্য ও এক্স-শোরুম মূল্যের মধ্যে পার্থক্য কী?
এক্স-শোরুম মূল্য: এই মূল্য একটি গাড়ির চূড়ান্ত ক্রয় খরচ নয়। একটি গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্য অন-রোড মূল্যের চেয়ে কম। এতে অন্য কোনও চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে না।
অন-রোড মূল্য: এই মূল্য একটি গাড়ির চূড়ান্ত ক্রয় খরচ। অন-রোড মূল্য সবসময় এক্স-শোরুম মূল্যের চেয়ে বেশি হয়। এর মধ্যে রয়েছে রোড ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি ইত্যাদি।
Ex-Showroom Price: গাড়ির অন-রোড মূল্য কীভাবে প্রভাবিত হয় ?
গাড়ির বছরের রক্ষণাবেক্ষণের প্যাকেজ- এতে ডিলার আপনার গাড়ির এক বছরের জন্য পলিশিং, পরিষ্কার, সার্ভিসিং, রাস্তার পাশে সহায়তার জন্য চার্জ করতে পারেন। কখনও কখনও এই সব সুবিধা শুধুমাত্র গাড়ির বিমা কভারে পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত আনুষাঙ্গিক- এর মধ্যে রয়েছে ফ্লোর ম্যাট, সিট কভার, হেলমেট ইত্যাদির খরচ।
অতিরিক্ত ওয়ারেন্টি- এটি আপনার গাড়ির ওয়ারেন্টি সময়কাল প্রসারিত করে।
গ্রিন সেস ট্যাক্স- এই ট্যাক্স রাজ্য থেকে রাজ্যে পরিবর্তিত হয়।
হ্যান্ডলিং চার্জ- এতে ডিলার কারখানা থেকে শোরুমে গাড়ি আনার চার্জ ও গাড়ি পরিষ্কার করার খরচ যোগ করে।
বিমা- মোটর যান আইন অনুসরণ না করে আপনি ভারতের রাস্তায় আপনার গাড়ি চালাতে পারবেন না, যার জন্য আপনার গাড়ির জন্য একটি বিমা পলিসি কেনা বাধ্যতামূলক।
রেজিস্ট্রেশন ফি- এটি আরটিওতে আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করে , যে কারণে আপনি আপনার গাড়ির জন্য একটি নম্বর প্লেট পান।
রোড ট্যাক্স- আপনাকে রাজ্যের উপর নির্ভর করে গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্যের উপর 3-20% পর্যন্ত এই কর দিতে হবে। এই কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একই গাড়ির দামের পার্থক্য রয়েছে।
Rolls-Royce: রোলস রয়েসের সার্ভিস কস্ট কত ? সার্ভিস না করালে কিনে ফেলতে পারবেন বাইক !