Fake News: দেশে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করবে বিশেষ দল, গুগল-মেটা পাঠাল প্রস্তাব
Social Media Update : সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বেড়েই চলেছে ভুয়ো খবরের প্রবণতা। আজ প্রায় প্রত্যেকের কাছে স্মার্টফোন থাকার কারণে প্রতি মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু না কিছু আপলোড হচ্ছে।
Social Media Update : সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বেড়েই চলেছে ভুয়ো খবরের প্রবণতা। আজ প্রায় প্রত্যেকের কাছে স্মার্টফোন থাকার কারণে প্রতি মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু না কিছু আপলোড হচ্ছে। এখানে ভাল জিনিস কম, গুজব বা ভুয়ো খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বেশি। এর ফলে সমাজ, শহর বা রাষ্ট্রের পরিবেশ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।
এই খবরে লাগাম টানার জন্য মেটা ও গুগল সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। যাতে কোম্পানিগুলি সরকারকে বলেছে, তারা ফ্যাক্ট চেকারদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়, যা ভুয়ো খবর আপলোডারদের ওপর নজর রাখবে। কোথা থেকে প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে তা জানাই হবে এই দলের কাজ।
কোম্পানিগুলো 'ইনফরমেশন কমব্যাট অ্যালায়েন্স' নামে এই নেটওয়ার্ক ফাইল করেছে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ার সব বড় কোম্পানি থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকে পাঠানো এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই জোট একটি সার্টিফিকেশন বডির মতো কাজ করবে। তারপর খবরের ওপর নজর রাখবে ও তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে যতই ভুল খবর বা গুজব ছড়ানো হোক না কেন, তা বন্ধ করে পরিবেশের অবনতি ঠেকাতে বিশেষভাবে এই ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।
এই প্রস্তাব আসার পরে, আইটি মন্ত্রক একটি নতুন নোটিশ জারি করেছে। তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালা ২০২১ সংশোধন করেছে সরকার।যেখানে বলা হয়েছে যে একটি নতুন ফ্যাক্ট-চেকিং টিম গঠন করা হবে, যাতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানো না হয়। সরকার প্রস্তাবের আওতায় দেশ-বিদেশের জন্য আলাদা টিম গঠন করবে, যারা বিভিন্ন উপায়ে খবরের ওপর নজর রাখবে।
বর্তমানে ভুয়ো খবর এভাবে চেক করা হয়
মেটা বর্তমানে ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিষয়টি রোধ করতে ফ্যাক্ট-চেকারদের সঙ্গে কাজ করে। ফ্যাক্ট চেকার আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্কের একটি প্লাটফর্ম যা ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই দলের সদস্যরা প্রথমে সংবাদের যথার্থতা ও নির্ভুলতা পরীক্ষা করে। তারপর সেই বিষয়ে তথ্য শেয়ার করে। এটি একটি মার্কিন ভিত্তিক নেটওয়ার্ক। কিন্তু ভারত সরকার চায় না যে তারা অন্য কোনও নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করুক, তাই সরকার তাদের নিজস্ব হোম নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চায়।
মনে রাখবেন, মিস ইনফরমেশন ভারতে একটি বড় সমস্যা, যে কারণে পরিবেশটি মাঝে মাঝে খুব উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ইত্যাদি ভারতে প্রচুর ব্যবহৃত হয়। এই পরিস্থিতিতে একটি ফ্যাক্ট চেক ইউনিট থাকা প্রয়োজন কারণ এটি সরকার ও সাধারণ নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন উপায়ে কার্যকর হতে পারে।