এক্সপ্লোর
Advertisement
রঙিন টিভি আমদানির উপরে কড়া বিধিনিষেধ কেন্দ্রের, ফের চাপে পড়তে চলেছে চিন
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় গ্রাহকরা কম দামের মধ্যেই আরও উন্নত মানের টিভি পেয়ে যাবেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে যারা রঙিন টিভি ভারতে আমদানি করতে চাইবে, তাদের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অন্তর্গত ডিজিএফটি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
নয়াদিল্লি: বিভিন্ন চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আগেই জারি হয়েছে। এমনকী চিনা রাখি ও রাখি তৈরির উপকরণ বর্জন করার ডাকও দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন বণিক সংগঠন। আর এবার ভারতে রঙিন টিভি আমদানির উপরে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হল কেন্দ্রের তরফে।
প্রসঙ্গত,ভারতে চিন থেকে আমদানি করা রঙিন টিভির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বছর বছর। এবার তাতে রাশ টানা হবে। গালোয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের উপর চিনা সেনার হামলার পর থেকে চিনা দ্রব্য বর্জনের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত তারই অঙ্গ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার ভারতে রঙিন টিভি উৎপাদনে আরও জোর দেওয়ার জন্যই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমনটাও অনেকের মত।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় গ্রাহকরা কম দামের মধ্যেই আরও উন্নত মানের টিভি পেয়ে যাবেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে যারা রঙিন টিভি ভারতে আমদানি করতে চাইবে, তাদের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অন্তর্গত ডিজিএফটি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, ৩৬ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার পর্দাবিশিষ্ট রঙিন টিভি সেট এবং ৬৩ সেন্টিমিটার এর কম দৈর্ঘ্যের পর্দাবিশিষ্ট এলসিডি টিভি সেট আমদানি করতে হলে আমদানি কারকের লাইসেন্স লাগবে।
প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার কর্ণধার মণীশ শর্মা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ” এর ফলে ভারতের মানুষ আরও উন্নত মানের টিভি সেট পাবেন কম দামে। দেশের মধ্যে টিভির বিভিন্ন সামগ্রী অ্যাসেম্বল করা হয়। সেই বিষয়টির উপর এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রথম সারির টিভি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির এদেশে অ্যাসেম্বলিং কারখানা রয়েছে। তবে, যে কোম্পানিগুলির কারখানা নেই তারা ভারতে তাদের কারখানা তৈরি করতে বাধ্য হবে।”
বর্তমানে চিন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি এবং থাইল্যান্ড থেকে ভারতে রঙিন টেলিভিশন আমদানি করা হয়। গত আর্থিক বছরে, ভারতে ৭৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের টিভি আমদানি করা হয়েছিল। এর মধ্যে শুধুমাত্র চিন এবং ভিয়েতনাম থেকেই আমদানি করা হয় যথাক্রমে ২৯৩ মিলিয়ন এবং ৪২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রঙিন টিভি। তাই যদি এই নতুন নির্দেশিকা সঠিকভাবে কাজ করে তবে ভারতের নিজস্ব টিভির বাজার খুব ভালোভাবে উন্নতি করার সুযোগ পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যে ডাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন, তারই অঙ্গ হিসেবে দেশে তৈরি রঙিন টিভির বাজারও চাঙ্গা করার উদ্যোগ নেওয়া হল। ভারতে রঙিন টিভির বিরাট বাজার রয়েছে। সেই চাহিদা আর আমদানির মাধ্যমে পূরণ না করে দেশের ভিতরে থাকা কারখানার মধ্য দিয়েই পূরণ হোক, এমনটাই কেন্দ্র চাইছে বলে মনে করছে বণিক মহল। আর এতে ফের চাপে ফেলা যাবে টিভি রপ্তানীকারী চিনকে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের (Business) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement