Bank Locker Rule : আপনি বাড়িতে আইনত কতটা সোনা রাখতে পারেন? ব্যাঙ্কের লকারেই বা কতটা সোনা রাখা যায়?
Bank Locker Rule : ব্যাঙ্ক একটি ফি-র বিনিময়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, লকারে গয়না সংরক্ষণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে?

বাড়িতে গয়নাগাটি বা খুব জরুরি নথি রাখার সাহস পান না অনেকেই। তাই রাখেন লকারে। মানুষের ভরসা-বিশ্বাস ব্যাঙ্কর লকার। গয়না নিরাপদে রাখার জন্য ব্যাঙ্কের লকার কতটা ভরসাযোগ্য, তা নিয়ে একের জনের মত একেকরকম। তবে নিঃসন্দেহে কথা বলাই যায়, ফাঁকা বাড়িতে গয়নাগাটি রেখে বাইরে যাওয়ার থেকে ঢের নিরাপদ ব্যাঙ্কের সেফ কাস্টডিতে গয়না রাখা। যখন ইচ্ছা তখনই তা তুলে আনা যায়, আবার রেখেও আসা যায়। ব্যাঙ্ক একটি ফি-র বিনিময়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু আপনি কি জানেন, লকারে গয়না সংরক্ষণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে?
আপনি বাড়িতে কত সোনা রাখতে পারেন?
আয়কর আইন অনুসারে, একজন বিবাহিত মহিলা কেবল ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনা রাখতে পারেন, যেখানে অবিবাহিত মহিলাদের জন্য সর্বোচ্চ ২৫০ গ্রাম। তাছাড়া, পুরুষরা তাদের নিজের নামে কেবল ১০০ গ্রাম সোনা রাখতে পারেন। এর অর্থ হল, প্রতিটি পরিবারের জন্য সোনা রাখার সীমা আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা একই পরিবারে থাকেন, তাহলে তারা মোট ১০০ গ্রাম + ৫০০ গ্রাম = ৬০০ গ্রাম রাখতে পারবেন।
লকারে সোনা রাখার সীমা
আরবিআই-এর নিয়ম অনুসারে, ব্যাঙ্কের লকারে সোনা রাখার সর্বোচ্চ কোনও সীমা নেই। তবে, লকারে সোনা রাখার পরিমাণ ব্যাঙ্কর নীতিনিয়মের উপর নির্ভর করে। তাছাড়া, আপনার কাছে প্রমাণ থাকতে হবে যে আপনি বৈধভাবে সোনা কিনেছেন। সহজ কথায় বলতে গেলে, আপনার ব্যাঙ্কের লকারে কত সোনা রাখা যাবে সে সম্পর্কে আরবিআই কোনও নিয়ম নির্ধারণ করেনি। গ্রাহকরা তাদের লকারে কতটা সোনা রাখতে চান তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব গ্রাহকের। ব্যাঙ্ক গ্রাহকে জিজ্ঞাসাও করতে পারে না যে আপনার লকারে কী আছে, কতটা সোনা আছে।যদি না আপনি এতে অবৈধ কিছু রাখেন।
লকারের জন্য অগ্রাধিকার তালিকা
দীপাবলির পরে ব্যাংকিং নিয়মে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে লকার নেওয়ার সময় সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ব্যাঙ্কের কাছে একটি লিখিত বিবৃতি দিতে হবে। যাতে বলা থাকবে, তার মৃত্যুর পরে কে লকার ব্যবহার করার অধিকারী হবেন অর্থাৎ সকারের জিনিসের উপর কার অধিকার থাকবে। এর উদ্দেশ্যই হল নিরাপত্তা জোরদার করা এবং ভবিষ্যতে আইনি বিরোধের আশঙ্কা কমানো। আগে, লকারের গ্রাহকের মৃত্যুর পর,যদি কাউকে নমিনি না রাখা হত, তাহলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায়শই লকার নিয়ে অশান্তি লাগত। তবে, অগ্রাধিকার তালিকা কার্যকর করে দিলে, আর সেই আশঙ্কা থাকবে না। তালিকা অনুসারে, লকারে যার নাম প্রথম থাকবে তিনি লকার খোলার অধিকারী হবেন। প্রথম জন কোনও কারণে মারা গেলে দ্বিতীয় ব্যক্, তাঁরও খারাপ কিছু হলে পরবর্তী ব্যক্তি হবেন।






















