Patanjali Ayurveda : স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ বদলে দিয়েছে সামাজিক উদ্যোগের সংজ্ঞা, পতঞ্জলি মানেই ব্যবসা ও জনকল্যাণের মডেল
Swami Ramdev : সমাজের প্রতি তাদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও অঙ্গীকার সামাজিক উদ্যোক্তাকে লাভজনক করে তুলেছে।

Swami Ramdev : ভারতে এখন বদলে গেছে ব্য়বসায়িক উদ্যোগের সংজ্ঞা। ব্যবসা ও জনকল্যাণের আদর্শ মডেল হয়ে উঠেছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ। কোম্পানির দাবি, স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ আয়ুর্বেদের শক্তির মাধ্যমে সামাজিক উদ্যোগের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দেশীয় পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে তারা কেবল ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়ে একটি আন্দোলনের সূত্রপাত করেছেন। সমাজের প্রতি তাদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ও অঙ্গীকার সামাজিক উদ্যোক্তাকে লাভজনক করে তুলেছে।
কৃষকদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পতঞ্জলির পথ
কোম্পানি জানিয়েছে, “ খামার থেকে ফার্মেসি মডেলের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে এই সংস্থা। এই মডেলটি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ঔষধি ভেষজ সংগ্রহ করে জৈব চাষকে উৎসাহিত করে। যার ফলে হাজার হাজার কৃষক প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করে রাসায়নিক-ভিত্তিক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়েছে। যা তাদের ইনপুট খরচ কমিয়েছে ও তাদের আয় বৃদ্ধি করেছে। গ্রামীণ ভারতকে স্বাবলম্বী করে তোলার দিকে এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
দশ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তির জীবিকার সুযোগ
পতঞ্জলি দাবি করেছে, “স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ তাদের কাজের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) কে সমর্থন করেছে। এই ছোট ব্যবসাগুলি বৃহত্তর বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছে অনেককে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পতঞ্জলি স্থানীয় নির্মাতাদের প্রযুক্তি, ব্র্যান্ডিং ও সেলস নেটওয়ার্ক সাজিয়ে দিয়েছে। যা তাদের প্রধান ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করে তুলেছে। এই প্রচেষ্টা দুই লক্ষেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে ও দশ লক্ষেরও বেশি ব্যক্তির জীবিকার সুযোগ করে দিয়েছে।”
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে নতুন জোয়ার
পতঞ্জলি জানিয়েছে, “যোগপীঠ, আচার্যকুল ও পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষায় পরিবর্তনের এক জোয়ার এনেছে। এই কেন্দ্রগুলি যোগ, আয়ুর্বেদ ও বৈদিক জ্ঞানকে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। বিনামূল্যে যোগ শিবির লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে।”
পতঞ্জলির মতে, “স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ দেশীয় পণ্য প্রচার করে ভারতকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করেছেন। পতঞ্জলির উপহার, ভেষজ প্রসাধনী, খাদ্যদ্রব্য ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিদেশি ব্র্যান্ডগুলির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এই মডেল কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নকেই সমর্থন করে না বরং ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেও পুনরুজ্জীবিত করে।”
বিশ্বমঞ্চে আয়ুর্বেদকে তুলে ধরেছে পতঞ্জলি
পতঞ্জলির দাবি, “কোম্পানি বিশ্বব্যাপী আয়ুর্বেদকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স জায়ান্টদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, পতঞ্জলির পণ্যগুলি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আচার্য বালকৃষ্ণের ৩৩০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র ও ২০০ টিরও বেশি বইয়ের অবদান আয়ুর্বেদের বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। স্বামী রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ সামাজিক উদ্যোগকে নতুন সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেখানে লাভের সঙ্গে সামাজিক কল্যাণ মিশে গেছে। এই কারণে স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণের যাত্রা কেবল ভারতের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।”






















