Share Market: হংকংকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম শেয়ার বাজার ভারতের
India Share Market: সোমবারের হিসেবে ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড শেয়ারের ভ্যালু ছুঁয়েছে ৪.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে হংকং বাজারে লিস্টেড শেয়ারের মোট পরিমাণ ৪.২৯ ট্রিলিয়ন ডলার।
Stock Exchange: সপ্তাহের শুরুর দিনে বন্ধ ছিল বাজার। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের প্রেক্ষিতে ভারতের শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল গতকাল। আর আজ মঙ্গলবার বাজার খুলতেই রেকর্ড গড়ল ভারত (Indian Share Market)। বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম বাজার হিসেবে হংকং বাজারকে (Hong Kong Market) সরিয়ে জায়গা করে নিল ভারত। দেশবাসীর মনে খুশির হাওয়া। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে এই প্রথম ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম ইকুইটি বাজারে পরিণত হল।
সোমবারের হিসেবে ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড শেয়ারের ভ্যালু ছুঁয়েছে ৪.৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে হংকং বাজারে লিস্টেড শেয়ারের মোট পরিমাণ ৪.২৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গের এই তথ্যের ভিত্তিতেই হংকংকে সরিয়ে চতুর্থ বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠল ভারত।
২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথমবার ভারতের শেয়ার বাজার (Indian Stock Markt) টাকার অঙ্কের দিক থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা পেরোয়। বেশ কয়েক মাস ধরেই খুচরো বিনিয়োগকারীদের লগ্নির পরিমাণ বাড়তে থাকায় শেয়ার বাজারও চড়তে থাকে ক্রমশ। এছাড়া FII অর্থাৎ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও বেড়েছে নজরকাড়াভাবে। বিশ্বের মধ্যে সবথেকে জনবহুল দেশ ভারত আর সেই জন্যেই ভারতের বাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিপুল মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
ভারতের বাজার যেখানে ফুলে-ফেঁপে উঠছে, সেখানে হংকং বাজারের (Hong Kong Stock Market) অবস্থা খুবই শোচনীয়। চিনের অন্যতম বিখ্যাত সব কোম্পানি যেখানে নথিভুক্ত সেই বাজারে এখন মন্দা। ২০২১ সালে শীর্ষ ছোঁয়ার পরে হংকং বাজারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে। বেজিংয়ের কঠোর করোনা-বিধি, সংস্থার উপর বেশ কিছু কড়া নির্দেশিকা, ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা নানা কারণে প্রভাবিত হয়েছে হংকংয়ের বাজার।
এদিকে চিনের বিকল্প হিসেবে বিশ্বের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে ভারত। চিনের বদলে বিশ্বের অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সহায়তা, তুলনায় স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভারতের ব্যবহার-নির্ভর অর্থনীতির কারণে ভারতের বাজার ক্রমেই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
গত সপ্তাহের শুক্রবার বাজারে পতন দেখা গিয়েছিল, উদ্বেগ বেড়েছিল খানিক। মঙ্গলবার বাজার খুলতেই গ্রিন জোনে ফেরে শেয়ার বাজার। বাজার খুলতেই ৫৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায় সেনসেক্স। অন্যদিকে নিফটি সূচকও প্রায় ১৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। তবে পরে সেনসেক্স সূচক হ্রাস পায়। নেমে যায় নিফটি ফিফটিও।