Fraud Case: অভিষেকের নাম করে তোলাবাজির চেষ্টার অভিযোগ, পুলিশের জালে তিন
Abhishek Banerjee: চেষ্টা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে ফোন করে পুরপ্রধানের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর।
কলকাতা: অভিষেকের (Abhishek Banerjee) অফিসের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ, ধৃত ৩। MLA হস্টেলের বুকিং রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। MLA হস্টেলের সুপারের কাছে আরও তথ্য তলব করা হয়েছে।
প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ: চেষ্টা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে ফোন করে পুরপ্রধানের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর। কিন্তু অভিযুক্তদের টার্গেট, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে হাতেনাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ দুষ্কৃতী। এদিকে ধৃতদের মধ্যে একজনকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচিতে দেখা যাওয়ায় তৈরি হল নতুন বিতর্ক। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা আনন্দ দত্তকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা।
পুর-প্রধানের অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে। টাকা নিয়ে কলকাতার কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলে আসতে বলা হয় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে আনন্দ দত্তকে। তিনি বলেন, "ফোন এসেছিল, অভিষেক ব্যানার্জির অফিসের নাম করেই এসেছিল। বলেছিল MLA হস্টেলে আসুন।''
অভিযোগ, একইভাবে আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈনের নাম করে তোলা চেয়ে ফোন আসে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। কাজ ভাল না হওয়ায় চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, পদে থাকতে হলে টাকা নিয়ে MLA হস্টেলে দেখা করুন বলে ফোনে বলা হয় বলে অভিযোগ। ঠিক যেমনভাবে বৃহস্পতিবার ফোন করে টাকা চাওয়া হয় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। সূত্রের খবর, সন্দেহ হওয়ায়, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান যোগাযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। এরপরেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের অফিস থেকে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে ফাঁদ পাতে শেক্সপিয়র সরণি থানা। টাকা দেওয়ার কথা বলে সাদা পোশাকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলে যান কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান। সেখান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় জুনেদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক ও শেখ তসলিম নামে ৩ অভিযুক্তকে।
আরও চাঞ্চল্যকর ব্যাপার, কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলের যে ঘর থেকে ৩ অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে পুলিশ, শেক্সপিয়র থানা সূত্রে দাবি, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-র নামে ‘বুক’ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, "যাকে আমি চিনি না তাকে ঘর দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি যদি ঘর দিই, তাহলে আমার প্যাডে রেকমেন্ডেশন লেটার লাগবে, তা ছাড়া তো হতে পারে না। কে, কার নামে কোথা থেকে ঘর বুক করবে, তার দায় তো আমার নয়। তৃণমূলের সবসময় চিন্তাভাবনা হচ্ছে, কী করে বিজেপির যাঁরা বিধায়করা আছে, তাঁদের বদনাম করা যাবে। তাই আমাদের নাম ভাঙিয়ে ওখানে MLA হস্টেলে তারা ঘর বুক করে, নানাভাবে চক্রান্ত করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।''
এবিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের যে সুপারিনটেনডেন্ট রয়েছেন আমাদের MLA হস্টেলের, তাঁর কাছে আমি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। পাশাপাশি আমি পুলিশের আধিকারিকের কাছে জানতে চাইব (ধৃতদের) কী যোগ রয়েছে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।