Infosys: ৭০ ঘণ্টা কাজ নয় ! ইনফোসিস বেঁধে দিল কাজের সময়, বড় স্বস্তি পাবেন কর্মীরা
Infosys Working Hours: যারা নিয়মিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় অফিসে কাটাচ্ছেন বা কাজ করছেন, ইনফোসিসের এইচআর বিভাগ তাদের মেল পাঠাচ্ছেন এবং নির্ধারিত সময়সূচি অনুসরণ করতে এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বলছেন।

Infosys Working Hours: টেক জায়ান্ট ইনফোসিস তাদের একটি আভ্যন্তরীণ প্রচারের মাধ্যমে তাদের কর্মীদের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে জোর দিয়েছেন, উৎসাহিত করেছেন। এক সংবাদসূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে, সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগ (এইচআর বিভাগ) কর্মীদের অফিসে (Infosys Working Hour) কাটানো সময় ট্র্যাক করে এবং তাদের নির্ধারিত কাজের সময় মেনে চলার আহ্বান জানায়। বিশেষ করে যে সমস্ত কর্মী বাড়ি থেকে (Infosys) কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করেছে ইনফোসিসের এইচআর বিভাগ।
যারা নিয়মিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় অফিসে কাটাচ্ছেন বা কাজ করছেন, ইনফোসিসের এইচআর বিভাগ তাদের মেল পাঠাচ্ছেন এবং নির্ধারিত সময়সূচি অনুসরণ করতে এবং স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বলছেন। এই ইমেলে রয়েছে রিমোট ওয়ার্ক করা কর্মীদের দৈনিক কাজের সময়ের পরিসংখ্যান এবং সপ্তাহে কতদিন কাজ করেছেন সেই কর্মী তাঁর সংখ্যা আর গড় দৈনিক কাজের ঘণ্টার মত বিশদ তথ্য। আর এর মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে সংস্থার বহু কর্মী নির্ধারিত গড় সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় কাজ করেছেন আগের মাসগুলিতে।
ইনফোসিসের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানান, 'আমাদের সপ্তাহে ৫ দিন এবং দৈনিক ৯.১৫ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। যদি আমরা রিমোট ওয়ার্কের সময় এই নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যাই তাহলে তা ট্রিগার তৈরি করবে।'
৭০ ঘণ্টা কাজের বিতর্ক
ইনফোসিস সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি ৭০ ঘণ্টা কাজের সপ্তাহের পক্ষে কথা বলার পরেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশে। এই আবহেই এই নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে যেখানে দিনে ৯.১৫ ঘণ্টা করে ৫ দিন কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। ফলে এই প্রতিবেদন ঘিরে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এই বছর জানুয়ারি মাসে যদিও নারায়ণ মূর্তি তাঁর বলা ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান যে অন্যদের উপরে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
নারায়ণ মূর্তির পরে এল অ্যান্ড টি সংস্থার চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যমও বলেছিলেন যে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে কর্মীদের। সেই বক্তব্যও তুমুল ভাইরাল হয়ে পড়ে, এবং কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
ইমেলে কী জানিয়েছে ইনফোসিস
কর্মীদের পাঠানো ইমেলে ইনফোসিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাদের স্বাস্থ্য এবং ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সের উপরে জোর দেয় সংস্থা। শুধু কর্মীদের ব্যক্তিগত আগ্রহের ক্ষেত্রেই নয়, বরং এটি মেনে চলা দরকার সংস্থার কাজে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের জন্যও। ইমেলে লেখা হয়েছে, 'যদিও আমরা আপনার কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করি, তবু আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে আপনার সুস্থতা এবং দীর্ঘমেয়াদি পেশাদার সাফল্য উভয়ের জন্যই সুস্থ কর্মজীবন-ব্যক্তিজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের দিনের মধ্যে নিয়ম করে বিরতি নিন। অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে আপনার ম্যানেজারকে জানান, প্রায়োরিটি পরিচালনার ক্ষেত্রে অসুবিধে হলে ম্যানেজারের কাছে সহায়তা চান। ছুটির সময়গুলিতে নিজেকে ভরপুর প্রাণোচ্ছ্বল করে তুলুন। যখন-তখন কাজের ব্যাপারে কথা বলা কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে ম্যানেজারকে যথাযথভাবে কাজ অর্পণ ও দায়িত্ব পুনর্বন্টনের ব্যাপারে কথা বলুন।'






















