Paytm IPO Listing: এনএসই-তে ১৯৫০ ও বিএসই-তে ১৯৫৫ টাকায় লিস্টিং হল পেটিএমের শেয়ার
Paytm IPO Listing এই ইস্যু জারি করে ১৮,৩০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে পেটিএম আইপিও এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৃহত্তম ফিনটেক আইপিও হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোল ইন্ডিয়ার রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল।
নয়াদিল্লি: দেশের বৃহত্তম ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) পেটিএম বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্চ (এনএসই)-তে তালিকাভূক্ত হল। এনএসই-তে ১৯৫০ টাকা ও বিএসই-তে ১৯৫৫ টাকায় তালিকাভূক্ত হল পেটিএম আইপিও । এভাবে স্টক এক্সচেঞ্চে অভিষেক হল ডিজিটাল পেমেন্ট জায়ান্ট পেটিএমের। বিএসই-তে ইস্যু প্রাইস ছিল ২, ১৫০ টাকা। কিন্তু পেটিএমের শেয়ার ব্যবসা শুরু করে নির্ধারিত মূল্যের ৯ শতাংশ কম, অর্থাৎ ১৯৫৫ টাকায়।
দেশের কর্পোরেট ইতিহাসের বৃহত্তম পেটিএম আইপিও তাদের শেয়ারের মূল্য প্রতি শেয়ারে ২০৮০ টাকা থেকে ২১৫০ টাকার প্রাইস ব্র্যান্ডে রেখেছিল। প্রাইস ব্র্যান্ডের শীর্ষ স্তরে কোম্পানির মূল্য নির্ধারন করা হয়েছিল ১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই ইস্যু জারি করে ১৮,৩০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে পেটিএম আইপিও এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৃহত্তম ফিনটেক আইপিও হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোল ইন্ডিয়ার রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল। কোল ইন্ডিয়া ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলেছিল।
পেটিএম আইপিও ছিল ২০২১-এ সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ফিনটেক আইপিও। স্পেনের অলফান্ডস আইপিও-র পর দ্বিতীয় স্থানে পেটিএম আইপিও। সামগ্রিকভাবে সারা বিশ্বে স্টক অভিষেকের ক্ষেত্রে পেটিএম চতুর্থ বৃহত্তম ফিনটেক আইপিও।
কোনও সংস্থা প্রাইভেট ফার্ম থেকে পাবলিক ফার্ম হয়ে উঠতে আইপিও জারি করে। সেই হিসেবে পেটিএম এতদিন ছিল প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। এখন পাবলিক ফার্ম হয়ে ওঠায় তাদের শেয়ার বাজারে অভিষেক ঘটল।
উল্লেখ্য, ভারতে আরও অনেক ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু এই কোম্পানিগুলির মধ্যে বাজারে অংশ সবচেয়ে বেশি পেটিএমের। পেটিএমের ২০ মিলিয়নের বেশি মার্চেন্ট পার্টনার রয়েছে।
সিইও বিজয় শঙ্করের নেতৃত্বাধীন ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি রাজস্ব বৃদ্ধি ও গত কয়েক বছরে তাদের অন্যান্য অফারিংয়ের মানিটাইজিংর ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। অনলাইন পেমেন্ট ওয়ালেট হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল পেটিএম। এখন তারা ব্যাঙ্কিং, ক্রেডিট কার্ড, আর্থিক পরিষেবা, সম্পদ ম্যানেজমেন্ট, ইউপিআই ও অন্যান্য পরিষেবার দিকে উদ্যোগ নিয়েছে।