Jio World Centre: ‘উল্লাসের ফোয়ারা’, মায়ানগরীর প্রাণকেন্দ্রে ‘জিও দুনিয়া’, ঘোষণা রিলায়্যান্সের
Jio World Centre: রিলায়্যান্সের প্রতিষ্ঠাতার নামে নামাঙ্কিত ধীরুভাই অম্বানী স্কোয়্যারও এই জিও দুনিয়ার মধ্যমণি। তাকে ঘিরে রয়েছে ফাউন্টেন অফ জয় নামের সারি সারি মিউজিক্যাল ফোয়ারা।
মুম্বই: শুধু দূরভাষ বা ইন্টারনেট পরিষেবা নয়, ভারতীয়দের জীবনে ওতপ্রোত ভাবে মিশে যাওয়াই লক্ষ্য। মানুষের জীবনের অংশ নয়, তাদের তৈরি জগতে মানুষকে টানাই উদ্দেশ্য। তার জন্য এ বার আক্ষরিক অর্থেই আপন দুনিয়া গড়ে তোলার পথে পা বাড়াল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance Industries)। মায়ানগরীর প্রাণকেন্দ্রে জিও ওয়র্ল্ড সেন্টার (Jio World Centre) নামের বহুমুখী কেন্দ্র খুলে দিল তারা। এই সবে প্রথম পর্যায়ে খোলা হল ওই কেন্দ্র, ধাপে ধাপে খুলবে আরও সুবিশাল এলাকা। সেটিকে দেশের ব্যবসা, সংস্কৃতি, প্রযুক্তির ভরকেন্দ্র করে তোলাই লক্ষ্য রিলায়্যান্সের।
মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সকেই এই প্রকল্পের জন্য বেছে নিয়েছে রিলায়্যান্স। রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর তথা রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নীতা অম্বানীর (Nita Ambani) স্বপ্নের বাস্তবায়ন করাই তাদের লক্ষ্য বলে শুক্রবার সংস্থার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৮ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হবে জিও ওয়র্ল্ড সেন্টার। চলতি এবং আগামী বছরে ধাপে ধাপে আরও অংশের উদ্বোধন হবে।
রিলায়্যান্স জানিয়েছে, জিও ওয়র্ল্ড সেন্টারে বিশ্বমানের পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। খুচরো ব্যবসা থেকে অভিজাত ক্যাফে-রেস্তরাঁ, আবাসন থেকে দফতর, ছবি প্রদর্শনীর গ্যালারি থেকে ফাউন্টেন অফ জয় (Fountain of Joy) নামের মিউজিক্যাল ফোয়ারা, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সব কিছু থাকছে। দেশের সম্মানে এবং নতুন ভারত নির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে রিলায়্যান্স। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে জিও ওয়র্ল্ড সেন্টার মুম্বই তথা গোটা দেশের অন্যতম সেরা দ্রষ্টব্য জায়গা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তারা।
আরও পড়ুন: Share Market Update: শেয়ার পিছু ৪৯০ টাকা ডিভিডেন্ড দিচ্ছে এই কোম্পানি, এখন কিনলে লাভ না ক্ষতি ?
রিলায়্যান্সের প্রতিষ্ঠাতার নামে নামাঙ্কিত ধীরুভাই অম্বানী স্কোয়্যারও এই জিও দুনিয়ার মধ্যমণি। তাকে ঘিরে রয়েছে ফাউন্টেন অফ জয় নামের সারি সারি মিউজিক্যাল ফোয়ারা। গানের সুর এবং রংবেরংয়ের আলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠানামা করে ফোয়ারার জল। বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারতকে তুলে ধরতেই এত আলোর সমাহার বলে জানানো হয়েছে। ওই ফোয়ারাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে আটটি ফায়ার শ্যুটার, ৩৯২ ওয়াটার জেট, ৬০০-র বেশি এলইডি আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। পদ্মফুলের পাপড়ি যেমন ধীরে ধীরে প্রষ্ফুটিত হয়, প্রযুক্তি এবং আলো সহযোগে ফোয়ারা সে ভাবেই ধরা দেয় চোখে।
বৃহন্মুম্বই পুরসভার অন্তর্গত এবং অন্য স্কুলের ২৫০ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই আলোকসজ্জা এবং ফোয়ারা সচক্ষে দেখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। করোনায় গত দু’বছরে যে ভাবে শিক্ষাদান করেছেন তাঁরা, সেই পরিশ্রমে সম্মান জানাতেই এমন উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। উদ্বোধনের পর প্রত্যেক সন্ধেয় ওই ফোয়ারার প্রদর্শনী রাখা হবে।
রিলায়্যান্স জানিয়েছে, জিও ওয়র্ল্ড সেন্টাকে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬৪০ স্কোয়্যার ফুটের দু’টি হল থাকছে, তাতে ১০ হাজার ৬৪০ একত্রে সমবেত হতে পারবেন। বলরুমটি আয়তনে ৩২ হাজার ২৯০ স্কোয়্যার ফুট। সেখানে একসঙ্গে ৩ হাজার ২০০ অতিথির সমাগম সম্ভব। বৈঠকের জন্য ২৯ হাজার ৬২ স্কোয়্যার ফুট জায়গা জুড়ে থাকছে ২৫টি ঘর। সেখানে ফাইভ জি ইন্টারনেট পরিষেবা, ৫ হাজার গাড়ি রাখার পার্কিং, দিনে ১৮ হাজার খাবারের জোগান দিতে সক্ষম হেঁশেলও থাকবে।