Patanjali Ayurveda : পতঞ্জলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আত্মনির্ভর ভারত ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর জোর, কী লক্ষ্য় কোম্পানির ?
Baba Ramdev : স্বামী রামদেব বিশ্বাস করেন, প্রকৃত স্বাস্থ্য বড়ি থেকে আসে না, বরং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আসে।

Baba Ramdev : পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ নিয়েছে এই উদ্যোগ। কোম্পানি জানিয়েছে, তারা এখন ভারতকে সুস্থ ও স্বাবলম্বী করে তোলার স্বপ্নের দিকে কাজ করছে। কোম্পানি ২০২৫ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ১০,০০০ ওয়েলনেস হাব খোলার পরিকল্পনা করছে। এই হাবগুলি কেবল আয়ুর্বেদিক ওষুধ ও যোগব্যায়াম ক্লাসই অফার করবে না, বরং ঘরোয়া প্রতিকার ও দেশীয় পণ্য সম্পর্কেও মানুষকে শিক্ষিত করবে।
স্বামী রামদেব বিশ্বাস করেন, প্রকৃত স্বাস্থ্য বড়ি থেকে আসে না, বরং প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আসে। অতএব, পতঞ্জলির উদ্যোগগুলি স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত কাঁচামাল ব্যবহার করে স্বনির্ভরতার ওপর জোর দেয়। এটি কেবল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে না, পাশাপাশি বিদেশি আমদানির ওপর নির্ভরতাও কমাবে।
কোম্পানির নজর শরীর, মন ও আত্মার ভারসাম্যে
কোম্পানি বলছে , “আমাদের নজর থাকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য, শরীর, মন ও আত্মার ভারসাম্যের ওপর। কোম্পানি একে একে এডটেক, ওয়েলনেস রিসর্ট ও দীর্ঘস্থায়ী কৃষিকাজে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল হেলথ অ্যাপগুলি মানুষকে বাড়ি থেকে ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করার সুযোগ দেবে। পণ্য দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য লজিস্টিক অ্যক্টিভ করা হবে।”
কী বলছেন স্বামী রামদেব
এই বিষয়ে স্বামী রামদেব বলেন, “আয়ুর্বেদ ও আধুনিক বিজ্ঞানের মিশ্রণ ভারতকে শক্তিশালী করবে। পতঞ্জলি এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি 'ইকোনমিক ভ্যালুয়েশন' তৈরি করেছে, যা একটি আত্মনির্ভর ভারতের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। কোম্পানি স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে কৃষকদের ক্ষমতায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশেই ভেষজ ও শস্য চাষের বিষয়ে নিশ্চিত করছে কোম্পানি।”
কোম্পানির দাবি, “২০২৫ সালের মধ্যে আয়ুর্বেদ শিল্প ১.৯ লক্ষ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। দেশে পতঞ্জলি এই বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোম্পানি এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে । উদাহরণস্বরূপ, শীঘ্রই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পতঞ্জলি হেলথ সেন্টার খুলবে। সেখানে যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার কেন্দ্র হবে। এই পদক্ষেপ ভারতের 'সফট পাওয়ার'কে শক্তিশালী করবে। পতঞ্জলি ই-কমার্স, শিক্ষা ও কৃষিতেও প্রবেশ করেছে। টেলিমেডিসিনের মতো প্রযুক্তির সাহায্যে, স্বাস্থ্যপরিষেবা গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছবে। যার ফলে সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে। তবে, এতে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেমন পণ্যের মান বজায় রাখা ও বাজারের প্রতিযোগিতার সঙ্গে লড়াই।”
আত্মনির্ভরশীলতা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে
পতঞ্জলির মতে, “কোম্পানির এই উদ্যোগগুলি কেবল ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়, বরং একটি বিপ্লব। স্বনির্ভরতা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য মানুষকে সুস্থ রাখবে। স্বামী রামদেবের দৃষ্টিভঙ্গি ভারতকে একটি নতুন মাত্রা দেবে। যদি এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ২০২৫ সালের পরে ভারত আরও উজ্জ্বলতার গতি লাভ করবে।”


















