RBI MPC Meeting: রেপো রেট নিয়ে বড় ঘোষণা RBI-এর, ঋণের উপর সুদের হার কি কমল ?
Repo Rate: এর আগে জুন মাসের মুদ্রানীতির বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়ে দিয়েছিল, আর তখনই এই সুদের হার নেমে আসে ৫.৫ শতাংশে।

RBI Repo Rate: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অগাস্ট মাসের মুদ্রানীতির বৈঠকের শেষে চূড়ান্ত ঘোষণা করেছে। এর আগে পরপর তিনবার রেপো রেট কমানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। এবার সেই রেট কমার (RBI Repo Rate) ধারায় ছেদ পড়েছে। ডিসেম্বরের পরে এই প্রথম রেপো রেট স্থিতিশীল রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ এর আগের বৈঠকে রেপো রেট কমিয়ে যে ৫.৫ শতাংশ করা হয়েছিল, সেই সুদের হারই এখন বজায় রাখা হল। রেপো রেটে বৃদ্ধি বা হ্রাস কিছু হয়নি এই মুদ্রানীতির বৈঠকে। আজ ৬ অগাস্ট বুধবার মুদ্রানীতির বৈঠক শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Repo Rate) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা মুদ্রানীতি কমিটির প্রধান হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে স্বীকৃতি দিয়ে রেপো রেট (RBI MPC Meeting) একই রাখার ঘোষণা করেছেন। এর আগে ইতিমধ্যেই এই বছরে ১০০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানো হয়েছিল।
এর আগে জুন মাসের মুদ্রানীতির বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়ে দিয়েছিল, আর তখনই এই সুদের হার নেমে আসে ৫.৫ শতাংশে। আর সেটাই ছিল ২০২৫ সালে পরপর তৃতীয়বারের সুদের হার হ্রাস। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ও এপ্রিল মাসেও সুদের হার কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আর এভাবে ১০০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর কারণে ক্যাশ রিজার্ভ রেট কমে আসে ৩ শতাংশে।
রেপো রেট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রসঙ্গে টেনে বলেন দেশের আর্থিক গতি বজায় রাখার জন্য আরবিআই অনেক উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এর শক্তি অক্ষুণ্ন রয়েছে। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা সম্পর্কে তিনি বলেন যে যতক্ষণ না এই বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে ততক্ষণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না।
ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নগামী রয়েছে যা ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। জুন মাসে CPI ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি বছরে ২.১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ৭২ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। আর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের পরে এটিই সর্বনিম্ন স্তর রয়েছে। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। জুন মাসের CFPI অনুসারে বছরে এই মুদ্রাস্ফীতির হার ১.০৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর শহরাঞ্চলে এই মুদ্রাস্ফীতি ১.২২ শতাংশ কমে গিয়েছে।























