Samsung: মাসে ৫ হাজার টাকা ইনসেনটিভের ঘোষণা, কর্মীদের খুশি করতে বড় সিদ্ধান্ত এই সংস্থার
Samsung Strike: সোমবার স্যামসাং সংস্থা জানিয়েছে যে এই ধর্মঘট শেষ করতে সংস্থা ওয়ার্কম্যান কমিটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে। সকল কর্মীকে মাসে ৫০০০ টাকা করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।
Samsung Strike: চেন্নাইয়ের স্যামসাং কারখানায় দীর্ঘ এক মাস ধরেই চলছে কর্মীদের ধর্মঘট। এবার চেন্নাইয়ের শ্রীপেরামবুদুরের এই কারখানায় ধর্মঘট উঠবে বলেই আশা করা হচ্ছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স সংস্থা একটি উপায় বের করেছে এবং কর্মীদের খুশি (Samsung Strike) রাখতে বড় পদক্ষেপ করছে। এই সংস্থার সকল কর্মীকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে বিশেষ ইনসেনটিভ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তাছাড়া সংস্থায় কাজের অবস্থার উন্নয়নের জন্যও অনেক পদক্ষেপ (Samsung Incentive) করবে স্যামসাং। তবে সংস্থা এই চুক্তিতে ধর্মঘটে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন সিআইটিইউ-কে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা ইনসেনটিভ পাবেন কর্মীরা
সোমবার স্যামসাং সংস্থা জানিয়েছে যে এই ধর্মঘট শেষ করতে সংস্থা ওয়ার্কম্যান কমিটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে। এই মৌ চুক্তির অধীনে স্যামসাং সংস্থাকে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সমস্ত কর্মীদের প্রতি মাসে প্রোডাক্টিভিটি স্টেবিলাইজেশন ইনসেনটিভ দিতে হবে। কর্মী ও সংস্থা উভয়পক্ষই চেন্নাইয়ের এই কারখানাকে একটি উন্নত কর্মক্ষেত্রে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। সংস্থা জানিয়েছে যে তারা কর্মীদের সঙ্গে নিরন্তর আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং বেতন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। কোনও কর্মীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা তাৎক্ষণিক ত্রাণ দেওয়া হবে। কর্মীদের অফিসে আসার জন্য ৫টি রুটে যের এসি বাস চলছে তা এরপরে ১০৮টি রুটে চালানো হবে বলে জানিয়েছে স্যামসাং।
CITU অন্তর্ভুক্ত ছিল না এই চুক্তিতে
সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন ওরফে সিটু যারা ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে এই চুক্তি কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। একদিন আগে তামিলনাড়ু সরকার ধর্মঘট শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছিল, এই কাজের জন্য তাদের তিনজন মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিল। এর মধ্যে ছিলেন টিআরবি রাজা, টিএম আনবরাসন এবং সিভি গণেশান। চুক্তির বিষয়ে তিনি সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
৯ সেপ্টেম্বর থেকে চলছে ধর্মঘট
এই স্যামসাং কারখানায় ১৭৫০ জন কর্মী কাজ করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চলা ধর্মঘটে এর মধ্যে সামিল আছেন ১,০১০ জন। সকলের দাবি বেতন বাড়াতে হবে। কাজের সময় উন্নত করা এবং ইউনিয়ন হিসেবে সিটুকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই ঘটনায় বিক্ষোভে সামিল ৯০০ কর্মীকে পুলিশ আটকও করেছে। ধর্মঘট বন্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে স্যামসাং। এমনকী কর্মীদের বরখাস্ত করার নোটিশও দেওয়া হয়েছে। উৎসবের মরশুমে এই ধরনের ধর্মঘটে স্যামসাংয়ের সম্মান ও উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Gold Silver Price: পঞ্চমীতে দারুণ সুযোগ, দাম কমল সোনার- আজ কিনলে কত কমবে খরচ ?