Trump Tariff: ওষুধের উপর ২০০% শুল্ক আরোপ ! ট্রাম্পের ট্যারিফে চিন্তায় আমেরিকানরা
Tariff On Medicine : পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আমেরিকানদের বেশি দাম দিয়ে ওষুধ (Medicine Price Hike) কেনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Tariff On Medicine : খোদ নিজের দেশেই এবার সমালোচনার শিকার হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President)। সম্প্রতি ওষুধ আমদানির ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলতেই এই পরিবেশ তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আমেরিকানদের বেশি দাম দিয়ে ওষুধ (Medicine Price Hike) কেনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ট্রাম্পের নিশানায় ওষুধ কোম্পানিগুলি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা আমেরিকানদের জন্য একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে উঠছে। একদিকে, মার্কিন আদালত শুল্ক আরোপকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, অন্যদিকে, ট্রাম্প তার পদক্ষেপ থেকে পিছু হটতে প্রস্তুত নন। এখন ওষুধ কোম্পানিগুলি তার নিশানা করেছেন ট্রাম্প।
মার্কিন জনগণের ওপর প্রভাব
সংবাদ সংস্থা এপি অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন আমদানিকৃত ওষুধের উপর ভারী শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছু ওষুধের ওপর এই হার ২০০ শতাংশ পর্যন্ত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অটো ও স্টিলের পরে ওষুধ খাতে শুল্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এর ফলে সরাসরি সেই ওষুধগুলিতে প্রভাব পড়বে যেগুলির ওপর এখনও পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এর অর্থ হল ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ আমেরিকান জনগণ প্রভাবিত হতে পারে।
আমেরিকানরা কেন চিন্তিত ?
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, ওষুধের উপর ভারী শুল্ক আরোপের ফলে সাপ্লাই চেন প্রভাবিত হবে। অন্যদিকে, ওষুধের ঘাটতির জন্য বাজারে ঝুঁকি বাড়বে। ট্রাম্প প্রশাসন তাদের পদক্ষেপকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে যুক্তি দিয়েছে আমেরিকা।
মার্কিন বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওষুধের ঘাটতি এড়াতে অভ্যন্তরীণ স্তরে উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, যাতে কোভিড-১৯-এর মতো পরিস্থিতি আবার না ঘটে। সাম্প্রতিক মার্কিন-ইউরোপ বাণিজ্য সিদ্ধান্তে, ওষুধ সহ কিছু ইউরোপীয় পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন আরও শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে দামের ওপর ?
হোয়াইট হাউস বলেছে, উচ্চ শুল্ক বাস্তবায়নের জন্য প্রায় দেড় বছর সময় দেওয়া উচিত। অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যেই আমদানি বৃদ্ধি করেছে ও ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। জেফরিজের মার্কেট অ্য়ানালিস্ট ডেভিড উইন্ডেল সতর্ক করে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ বা ২০২৭ সালের আগে কার্যকর নাও হতে পারে। এর স্বল্পমেয়াদি প্রভাবে ওষুধের ঘাটতি বৃদ্ধি পাবে। যদিও দীর্ঘমেয়াদে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে খরচ ও সাপ্লাইয়ের ওপর।






















