Madhya Pradesh News: কিশোরীকে ধর্ষকের বাড়িতে পাঠিয়ে দিল প্রশাসন, সেখানে ফের নারকীয় অত্যাচার, ভয়ঙ্কর ঘটনা মধ্যপ্রদেশে
Crimes Against Women: মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

নয়াদিল্লি: এবার নারী নির্যাতনের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে এল মধ্যপ্রদেশ থেকে। সেখানে ১৫ বছরের কিশোরীকে জোর করে ধর্ষকের বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সেখানে ফের ওই কিশোরীকে অভিযুক্ত ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। (Crimes Against Women)
মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানকার শিশুকল্যাণ দফতরই মেয়েটিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়িতে পাঠায় বলে অভিযোগ। ছতরপুর পুলিশের তরফে ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর দায়ের হয়েছে শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান, সদস্য এবং শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। (Madhya Pradesh News)
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঘটনার সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরী স্কুল যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়ে নিখোঁজ বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। তার পর নয় নয় করে এক মাস কেটে যায়। ১৭ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে মেয়েটির সন্ধান মেলে। অন্য গ্রামের এক যুবকেরও নাগাল পায় পুলিশ।
ওই যুবকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন থেকে শিশু-সুরক্ষার POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। অপহরণ এবং ধর্ষণের মামলাও যুক্ত করা হয়। তাকে জেলে পাঠানো হয়। প্রথমে পান্নার কোতোয়ালি থানায় রাখা হয় তাকে। পরে জাঝর নগরের জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই কিশোরীকে শিশুকল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়, যাতে তাকে হোমে রেখে কাউন্সেলিং করানো হয়। প্রথমে পান্নার ওয়ান স্টপ সেন্টারে রাখা হয় কিশোরীকে। কিন্তু এর পর সমস্ত নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে কিশোরীকে মেয়েটিকে তুতো দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যিনি আবার অভিযুক্ত ধর্ষকের বৌদি।
কিশোরী সেখানে থাকাকালীন অভিযুক্ত ধর্ষক জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। বাড়ি ফিরে আবারও ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। আবারও গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতিতাকে কারও বাড়িতে পাঠানোর আগে সবদিক খতিয়ে দেখা হয়। রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের থেকে সেই মর্মে রিপোর্ট পর্যন্ত সংগ্রহের তাগিদ অনুভব করেনি তারা। ফলে আবারও নারকীয় অত্যাচারের শিকার হতে হয় ওই কিশোরীকে।
মেয়েটির পরিবারের তরফে তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও হয়। কিছুতেই কাজ না হওয়ায়, শেষে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলাশাসক বিষয়টি জানতে পেরে তাজ্জব হয়ে যান। শিশুকল্যাণ কমিটিকে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতে বলেন তিনি। কিন্তু গাফিলতি ঢাকতে ২৯ এপ্রিল শিশুকল্যাণ সমিতি মেয়েটিকে আগের হোমে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কাউন্সেলিং চলাকালীন মনোবিদকে সবকিছু খুলে বলে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী। তবেই দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। কিন্তু তার পরও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। শিশুকল্যাণ কমিটি অপরাধের কথা চেপে রাখে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এর পরই ছতরপুর পুলিশ নড়েচড়ে বসে।






















