(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Amartya Sen: ১.৩৮ একর জমিই অমর্ত্য সেনের, উচ্ছেদ নোটিসের মধ্যেই প্রকাশ্যে ভূমি সংস্কার দফতরের নথি
ইতিমধ্যেই অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, শান্তিনিকেতনের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন নোবেলজয়ী।
বীরভূম: নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদ নোটিসের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল ভূমি সংস্কার দফতরের নথি। সরকারি নথি বলছে ১.২৫ একর নয়, ১.৩৮ একর জমিই অমর্ত্য সেনের নামে। রেকর্ড প্রকাশ ভূমি সংস্কার দফতরের । অকারণে অপমান করছে বিজেপির সমর্থকরা, ট্যুইটকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। ভূমি সংস্কার দফতরের নথি নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিশ্বভারতীর। ১৩ ডেসিমেল জমি দখলের অভিযোগে অর্মত্য সেনকে বিশ্বভারতীর নোটিস। জমি ছেড়ে দিতে বলে ২৯ মার্চ নোবেলজয়ীকে হাজিরার নোটিস বিশ্বভারতীর। এখনও কোনও চিঠি আসেনি, দাবি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের আইনজীবীর।
অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিস: ইতিমধ্যেই অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, শান্তিনিকেতনের ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন নোবেলজয়ী। তাঁকে সেই জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিসে। সেই সঙ্গে, ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে হাজির হতেও বলা হয়েছে। যদিও অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখনও কোনও চিঠি পাননি।
সংঘাতে নতুন মোড়: প্রতীচীর জমি বিতর্কে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সংঘাতে নতুন মোড়। এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ! ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ে তাঁকে হাজির হতেও বলা হয়েছে। বিতর্কের কেন্দ্রে ১৩ ডেসিমল জমি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল৷
পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রতীচীতে লিজের ১২৫ ডেসিমেল ছাড়াও অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রাখা হয়েছে। অমর্ত্য় সেনের ওই জমি-বিতর্কে সংঘাতে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য় সরকার। সম্প্রতি, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাসভবনে যান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পরের দিন, বিশ্বভারতীর শিক্ষক-পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করে...নাম না নিয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যকে নিশানা করে ন মুখ্য়মন্ত্রী।
সুর চড়ায় বিশ্বভারতী: ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পাল্টা সুর চড়ায় বিশ্বভারতী। নজিরবিহীনভাবে সেখানে বলা হয়,মাননীয়াকে অনুরোধ করব, যে কান দিয়ে না দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন। অমর্ত্য সেনের জমি-বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে এখনও পর্যন্ত ৩টি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিগুলির প্রেক্ষিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অসম্মানিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে আইনজীবী মাধ্যমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা আইনি চিঠি পাঠান অমর্ত্য সেন। এবার অর্মত্য সেনকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নোটিসে বলা হয়েছে, এটা শতাব্দী প্রাচীন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ এখানকার দখলকৃত জমি উদ্ধার করার দায়িত্ব বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কারণ এটা জাতীয় সম্পদ।
নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত না দিলে ১৯৭১ সালের উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না? এমনকী নোটিসে, ২৯ মার্চ বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিংয়ে অর্মত্য সেনকে হাজির হতে বলা হয়েছে। নিজে আসতে না পারলে একজন প্রতিনিধিকে পাঠাতে বলা হয়েছে।