Paschim Bardhaman:মাদক চোরাচালানের অভিযোগে অন্ডালে ধৃত ১
1 Arrested From Andal:মাদক চোরাচালানের অভিযোগে অন্ডালে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগীবাবা মন্দিরের কাছ থেকে গ্রেফতার হলেন ১ ব্যক্তি। ধৃতের নাম ফরমান আলি।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: মাদক চোরাচালানের (Drug Smuggling) অভিযোগে অন্ডালে (Andal), ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগীবাবা মন্দিরের কাছ থেকে গ্রেফতার হলেন ১ ব্যক্তি। ধৃতের নাম ফরমান আলি। তাঁর কাছ থেকে ৪৬ গ্রাম হেরোইন (Drug Recovery) উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
কী জানা গেল?
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত কাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, বিকেল চারটে নাগাদ যোগীবাবা মন্দিরের কাছে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। তাতেই ধরা পড়েন অভিযুক্ত, বছর ষাটেকের ফরমান আলি। তাঁর কাছ থেকে ৪৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। আজ ধৃতকে আসানসোল আদালতের তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে। সে কারণেই ধৃতের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হবে, বলে সূত্রে খবর। এর আগে, গত মার্চে সল্টলেকের সুকান্তনগর থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক হয়েছিল। সঙ্গে মেলে নগদও। সুকান্তনগরের নাওভাঙা এলাকার ওই ঘটনায় হইচউ পড়ে যায়। তদন্তে উঠে আসে, মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাবের নাম। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ জানায়, মাদক চক্রের পাণ্ডা এরাই। ওই দম্পতিকে আটক করে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ঘটনার দিন সন্ধেয় সুকান্তনগরে মোমিনের ৫ তলার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে। তার আগে, গত বছর অগাস্টে শহরের রেভ পার্টিতে সরবরাহের জন্য গোয়া থেকে কয়েক লক্ষ টাকার মাদক অর্ডার করেছিলেন শহরের বাসিন্দা দুই যুবক। ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের নাম ফৈয়াজ আলম ও মহম্মদ জুনেইদ। সন্দেহ এড়াতে পোস্ট অফিসে ডেলিভারি নেওয়া হয়। আগে থেকে এই নিয়ে খবর ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। সেই পার্সেল এসে পৌঁছলে পোস্ট অফিসে তা নিতে আসেন ফৈয়াজ ও জুনেইদ, খবর পুলিশ সূত্রে। দাবি, পার্সেল নিয়ে বেরোতেই কলকাতা পুলিশের হাতে পাকড়াও হন দুই মাদক পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাংরার বাসিন্দা ফৈয়াজ আলম ও এন্টালির বাসিন্দা মহম্মদ জুনেইদকে জেরা করে তাঁদের বাড়ি থেকেও ১৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক এমডিএমএ উদ্ধার । কোন কোন রেভ পার্টিতে মাদক পাঠানোর কথা ছিল, কী ভাবে মাদক আসত, কলকাতার পোস্ট অফিসের মাধ্য়মে আগেও মাদক এসেছিল কিনা জানার চেষ্টা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:যাদবপুরকাণ্ডে আরও কয়েকজন পড়ুয়া-প্রাক্তনীর খোঁজ তদন্তে, কারা তাঁরা