100 Days Work: ১০০ দিনের কাজে উপভোক্তাদের সই জালের অভিযোগ, গ্রেফতার ২ সুপারভাইজার
100 Days Work Corruption: ১০০ দিনের কাজে উঠল সই জাল করার অভিযোগ...
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার সুটিয়ায় ১০০ দিনের কাজে উপভোক্তাদের সই জাল করার অভিযোগ সই জালের অভিযোগে দুই সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত রূপালি মণ্ডল ও প্রসেনজিৎ ঘোষকে আজই তোলা হবে বনগাঁ মহকুমা আদালতে।
অভিযোগ ওঠে, পাঁচপোতা গ্রামে ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা যাঁদের কাছে জমা পড়েছে,তাঁদের অনেকেই কাজ করেননি। এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পুলিশের দাবি, ধৃত ২ জন কয়েকজন শ্রমিকের সই জাল করেছিলেন । ওই শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।
একশো দিনের কাজে এবার রাজ্য় সরকারের দেওয়া টাকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার সুটিয়ায় তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দ সেই খবর তুলে ধরার পর, শনিবার গ্রামে যান বিডিও। কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। গ্রামবাসীরা ডলি মণ্ডল নামে এক তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও, তিনি তা খারিজ করে দিয়েছেন। তবে বেনিয়ম যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান।
উত্তর ২৪ পরগনার সুটিয়ায় ১০০ দিনের কাজে রাজ্য় সরকারের দেওয়া টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে সেই প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হওয়ার পর, শনিবার সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচপোতা গ্রামে যান বিডিও নীলাদ্রি সরকার-সহ কয়েকজন আধিকারিক। ঘুরে ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এই সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অভিযোগ উঠেছে,
কাজ করেননি, এমন কয়েকজনের অ্য়াকাউন্টে রাজ্য় সরকারের দেওয়া ১০০ দিনের টাকা ঢুকেছে। জবকার্ড পিছু সামান্য় টাকা রেখে বাকি টাকা তাঁদের দিয়ে দিতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দর কাছে এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা রিনা ঘোষ।অনুসন্ধানকারী আধিকারিকদের প্রশ্নের উত্তরে, গ্রামবাসী এই মহিলাও দাবি করেন, কাজ না করা সত্ত্বেও তাঁর অ্য়াকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল। তাঁর মুখেও শোনা যায় তৃণমূলকর্মী এবং ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার ডলি মণ্ডলের নাম।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণিঝড়ে-বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি মুখ্যমন্ত্রী যেতেই তোপ শুভেন্দুর, বললেন..
টাকা প্রাপক কুন্তলা সাহা বলেন, আমি এবার কাজ করিনি। প্রত্য়েক বছরই কাজ করছি। এখন আমার বয়স হয়ে গেছে। তাই আমি আর পারিনি কাজ করতে। কিন্তু, টাকা ঢুকেছে আমার বইতে। BDO অফিসের কর্মী প্রশ্ন করেন, আপনার জব কার্ডটা তাহলে কাকে দিয়েছিলেন? কেন দিয়েছিলেন? টাকা প্রাপক কুন্তলা সাহা বলেন, ডলি নিয়েছিল। ওই কাজ করায়। ওই টাকা নিয়েছিল। বেনিয়ম যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও।